ফল, বিভিন্ন সবজি আমরা কাঁচা খেয়েই থাকি। স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে রেস্তোরাঁতেও রমরমিয়ে বিক্রি হয় স্যালাড। কিন্তু মাছ মাংস কাঁচা খাওয়া? এমন খাবারও আছে নাকি?
কাঁচা মাংস খাচ্ছে কেউ, শুনলেই মনে ভেসে ওঠে বইয়ের পাতা কিংবা টিভির পর্দায় দেখা রাক্ষসের ছবি। না মশাই, কোনও মানুষ কাঁচা মাছ বা মাংস খাওয়া মানেই সে ‘আদিম’, ‘বর্বর’ বা ‘জান্তব’ নয়। পৃথিবীর বহু দেশ, যাদের হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো ইতিহাস রয়েছে, রয়েছে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, তারা কিন্তু আজও কাঁচা মাংস খায়। আসলে, ‘cooked’ অর্থাৎ রান্না করা খাবার হল সেইসব খাবার, যা কোনও পাত্রে নিয়ে ফোটানো হয়েছে, ভাজা বা সেদ্ধ করা হয়েছে, বা এমনভাবে রান্না করা হয়েছে যাতে উপাদানে কোনও মৌলিক পরিবর্তন আসে। আর তা যদি না হয়ে থাকে, তবে উপাদানটিতে মশলা মাখালে, এমনকি পচিয়ে নিলেও, তা গণ্য হবে ‘raw’ অর্থাৎ কাঁচা হিসেবে। আর এই কাঁচা খাবারের কিন্তু চল রয়েছে গোটা পৃথিবী জুড়েই। কীরকম? সে কথাই বলা যাক।
আরও শুনুন: Hilsa: ইলিশ মাছকে নাকি সেকালে ভাবা হত ‘নিরামিষ’! কেন জানেন?
কলকাতার বহু রেস্তোরাঁতেই এখন মেলে জাপানি খাবার সুশি বা সাশিমি। মূলত কাঁচা মাছ বা সামুদ্রিক প্রাণী ভিনিগারে ডুবিয়ে ভাত আর সামুদ্রিক আগাছা দিয়ে মুড়ে বানানো রোলের নাম সুশি। আর ‘সাশিমি’ শব্দের অর্থ ‘কাঁচা মাছ বা সামুদ্রিক প্রাণী’। পছন্দসই মাছ, অক্টোপাস বা কাঁকড়া কেটে সয়া সসের সঙ্গে সার্ভ করা হয় এই ডিশটিতে।
আরও শুনুন: Biryani: বাঙালির বিরিয়ানিতে আলুর ঠাঁই হল কীভাবে?
পিছিয়ে নেই জাপানের প্রতিবেশী দেশ কোরিয়াও। এখানে অবশ্য শুধু সামুদ্রিক প্রাণী নয়, গোরুর মাংসও কাঁচা খাওয়া হয়। ‘ইউখো’ তার নাম। মাংসটাকে দেশলাই কাঠির মতো সরু করে কেটে নিয়ে মধু, সয়া সস, গোলমরিচ, রসুন দিয়ে মেখে পাতলা করে কাটা নাসপাতির ওপর সাজিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া সয়া সস বা লংকাগুঁড়ো দিয়ে তৈরি একটা সসের মধ্যে ডুবিয়ে ডুবিয়ে কাঁচা কাঁকড়াও খেয়ে থাকেন কোরিয়ানরা। সেই পদটির নাম গেজাং।
শুনে নিন বাকি অংশ।