সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে বাবা কী না করতে পারেন! এরকম হাজারও ঘটনা দৈনন্দিনে ঘটতে থাকে। যার দু-একটাই মাত্র সামনে আসে। সম্প্রতি সেরকমই এক ঘটনা মন জয় করল দেশবাসীর। ডেঙ্গু আক্রান্ত মেয়ের মুখে হাসি ফোটাতে এক বাবা কী করেছেন জানেন? আসুন শুনে নিই।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘উমা’ সিনেমাটির কথা মনে আছে? মরণাপন্ন মেয়ের মুখে হাসি ফোটাতে শহরে অকালবোধনের আয়োজন করেছিলেন বাবা। সিনেমার বাস্তবতা এবার যেন অনেকখানি মিশে গেল বাস্তবেও। মেয়ের মুখে হাসি ফোটাতে এবার এগিয়ে এলেন আর-এক বাবা, যাঁর কাজে আপ্লুত দেশবাসী।
আরও শুনুন: প্ল্যানচেটের মাধ্যমে আত্মার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব? জানেন এর সঠিক পদ্ধতি?
জানা যাচ্ছে, ভদ্রলোকের নাম রাহুল বর্মা। মেয়ে তাঁর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। ফলত বেশ কিছুদিন হল হাসপাতালে ভরতি। এর মধ্যেই এসেছে দিওয়ালি। সারা দেশ সেজে উঠেছে আলোর মালায়। একদিকে আলোর রোশনাই, অন্যদিকে অন্ধকার। এই ছবিটা কিছুতেই যেন মন থেকে মেনে নিতে পারছিলেন না রাহুল। আলোর খুশিতে সবাই যখন মেতে আছে, তখন তাঁর মেয়েই বা কেন ডুবে থাকবে মনখারাপের অন্ধকারে! ভেবে ভেবে একটি উপায় বের করলেন তিনি। দিওয়ালির ঠিক আগে মেয়ে যে কেবিনে আছে সেই কেবিনটিকেই সাজিয়ে তুললেন আলোর মালায়। আর সারা দেশ যখন আলোয় ভাসছে, তখন সেই ছোট্ট ঘরটিও ভরে উঠল আলোয় আলোয়। অসুস্থতার ভিতরই হাসি ফুটল অসুস্থ মেয়ের মুখে।
আরও শুনুন: ফুচকার জন্ম নাকি দ্রৌপদীর হাতেই! কোথা থেকে এল এই লোভনীয় খাবার?
রাহুল নিজেই সেই আলোকজ্জ্বল ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানিয়েছেন, কীভাবে তিনি এবারের দিওয়ালি সেলিব্রেট করেছেন তার কিসসা। আর এই গল্প জানা মাত্রই আপ্লুত হয়েছেন নেটিজেনরা। বহু মানুষ রাহুলের এই কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। একরত্তি মেয়ে সেরে উঠুক, এই প্রার্থনাও করেছেন অসংখ্য নেটিজেন। আর তার সঙ্গেই স্মরণ করেছেন বাবার ভূমিকা। মেয়ের আনন্দের জন্য একজন বাবা কী না করতে পারে! আসলে সিনেমা যা দেখায় তার সবটাই তো আর কাহিনি নয়। সেই কাহিনির নেপথ্যে থাকে কিছু সত্যি ঘটনা। তবে, সকলেই হয়তো দুর্গাপুজো বা ক্রিসমাস আয়োজনের মতো বড় করে কিছু করে উঠতে পারেন না। কিন্তু এই যে সামান্য হাসির ফুলঝুরিটুকু মেয়ের হাতে তুলে দেওয়া গেল, এই বা কম কী! রাহুলের এই কাজ দেখে অনেকেই তাই বলেছেন, সবার সামনে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন রাহুল।