কালীপুজোতেও মণ্ডপে প্রবেশে মানা আদালতের। দীপাবলিতে রাজ্যে ফাটানো যাবে বাজি। অবশেষে কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিল WHO। এবার বাড়িতে গিয়েই দেওয়া হবে করোনার টিকা। করোনার আবহেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 2 নভেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- উপনির্বাচনে চার আসনেই বিপুল ভোটে জয়ী তৃণমূল, শুভেচ্ছা মমতার
আরও শুনুন: 1 নভেম্বর 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- দীপাবলিতে পরিবেশবান্ধব বাজিতে সম্মতি শীর্ষ আদালতের
বিস্তারিত খবর:
1. দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোতেও জারি একাধিক নিষেধাজ্ঞা। দর্শনার্থীদের মণ্ডপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করল হাই কোর্ট। ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজ নেওয়া থাকলেও অবাধ প্রবেশের অনুমতি পাবেন না কেউ। অঞ্জলির ক্ষেত্রেও বেঁধে দেওয়া হয়েছে সংখ্যা। জগদ্ধাত্রী ও কার্তিক পুজোর ক্ষেত্রেও জারি একই নিয়ম।
কালীপুজোয় সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কায় চলতি বছর হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রাক্তন কর্মী অজয়কুমার দে। কালীপুজোর ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারির আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। বুধবার সেই মামলার রায় ঘোষণা হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে হাই কোর্টের তরফে সাফ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কালীপুজোতেও মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না কোনও দর্শনার্থী। ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজ নেওয়া থাকলেও অবাধভাবে প্রবেশ করতে পারবেন না কেউ। অঞ্জলি দেওয়ার ক্ষেত্রেও মানতে হবে একাধিক নিয়ম। বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে একবারে সর্বাধিক ৬০ জন প্রবেশ করতে পারবেন। ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৩০ জন। ক্লাবগুলির তরফে সচেতনতার প্রচার করতে হবে। প্রত্যেকের মাস্ক, স্যানিটাইজার ও শারীরিক দূরত্ব বিধি পালন আবশ্যক।
উল্লেখ্য, শুধু কালীপুজো নয়, জগদ্ধাত্রী ও কার্তিক পুজোর ক্ষেত্রেও এই নিয়ম বলবৎ থাকবে। সেক্ষেত্রেও মণ্ডপে প্রবেশ করে প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন না দর্শনার্থীরা।
2. দীপাবলিতে রাজ্যে শর্তসাপেক্ষে ফাটানো যাবে বাজি। তবে তা হতে হবে পরিবেশবান্ধব। সুপ্রিম কোর্টের পর এবার বাজিতে ছাড় দিল কলকাতা হাই কোর্ট-ও। নির্দেশ মানা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
করোনা পরিস্থিতিতে বাজি ফাটানো বন্ধের আরজি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। তার জেরে দীপাবলি, জগদ্ধাত্রী পুজো, বড়দিন এবং বর্ষবরণের রাতে রাজ্যে বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আদালত। এরপরই কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তবে রাজ্যের ৩৩ লক্ষ বাজি ব্যবসায়ী। সেই মামলার শুনানিতে শর্তসাপেক্ষে বাজি ফাটানোর রায় দেয় সর্বোচ্চ আদালত। সেই রায়ের পর বেআইনি বাজি বন্ধের আরজি নিয়ে বুধবার ফের কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল কলকাতা হাই কোর্ট।
বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাইজেশন বা পেসো দ্বারা স্বীকৃত বাজি ছাড়া অন্য কিছু বিক্রি করা যাবে না। পরিবেশবান্ধব বাজি যাতে বিক্রি হয় সেদিকে নজর দিতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। দীপাবলিতে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দু’ঘণ্টা বাজি ফাটানো হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তার ফলে বাতাস কতটা দূষিত হল, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখার দায়িত্ব রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।