আবার ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে! এবার ফ্যাবইন্ডিয়া আর ডাবর-এর দুটি বিজ্ঞাপন নিয়ে সরব নেটপাড়ার একাংশ। অভিযোগকারীদের বক্তব্য, দুটি বিজ্ঞাপনই হিন্দু সংস্কৃতি বিরোধী। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে দুটি সংস্থাই তাদের বিজ্ঞাপন তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ভারতীয় সংস্কৃতি কি এতটাই ঠুনকো, কথায় কথায় কেন তার ভাবাবেগে আঘাত লাগে! আলোচনায় কিশোর ঘোষ।
হালে ‘ধর্মীয় ভাবাবেগ’ জিনিসটা নিয়ে দেশ চর্চা বেড়েই চলেছে। মাঝেমাঝেই ‘ধর্মীয় ভাবাবেগে’ আঘাত লাগার অভিযোগ উঠছে। আমরাও চুপচাপ ব্যাপারটা দেখছি। তবে প্রশ্ন উঠতেও পারে, ধর্মীয় বা সংস্কৃতির আবেগ ব্যাপারটা এত ঠুনকো কেন? আরেকটি জিনিসও লক্ষ করার মতো, তা হল ভাবাবেগে আঘাত লাগার প্রশ্ন উঠছে সেখানেই, যেখানে তা প্রথাভাঙা। কখনও সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের বিরুদ্ধে, কখনও বা কোনও সংস্থার বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে অভিযোগ। সম্প্রতি অভিযুক্ত হয়েছে দুই সংস্থা- ‘ফ্যাব ইন্ডিয়া’ ও ‘ডাবর’। দুই ক্ষেত্রেই দুই রাজনৈতিক নেতা দুই নামি সংস্থাকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, হিন্দু ভাবাবেগে ও সংস্কৃতিকে আঘাত করেছে দুই সংস্থার দুটি বিজ্ঞাপন।
আরও শুনুন: মিলছে না মনের মতো সঙ্গিনী, ডেটিং অ্যাপের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত যুবকের
চলতি বছর ‘করবা চৌথ’ উৎসব ছিল ২8 অক্টোবর। তার মাঝেই ‘ডাবর’-এর একটি বিজ্ঞাপন আসে বাজারে। এই বিজ্ঞাপনে সমকামিতাকে সমর্থনের অভিযোগে উঠেছে সংস্থার বিরুদ্ধে। যেহেতু বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়েছে দুই তরুণী একসঙ্গে ‘করবা চৌথ’ উদযাপন করছে। এখানে পুরুষের ভূমিকা নেই, কেননা দুই তরুণির সম্পর্ককেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপরই রে-রে করে ডাবর-এর বিজ্ঞাপনের বিরোধিতা শুরু করেছে একশ্রেণির মানুষ। তাদের অভিযোগ, পশ্চিমী সংস্কৃতির দ্বারা হিন্দু ভাবাবেগকে আঘাত করা হয়েছে এই বিজ্ঞাপনে। অনেকেই অবশ্য বিজ্ঞাপন সংস্থার প্রথাভাঙা কনটেন্টেকে সমর্থন করেছেন। তাদের বক্তব্য, সমকামিতা নিয়ে এত ঢাক-ঢাক-গুর-গুর কেন হবে! পৃথিবীর বহু দেশে তো সমকামিতা স্বীকৃত। এদেশেও চর্চা বাড়ছে। আদালতেও উঠছে প্রসঙ্গ। একাধিক ছবিও হয়েছে।
আরও শুনুন: পৃথিবীতে ফের ছড়িয়ে পড়তে পারে অজানা ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া, জানেন কীভাবে?
তবে কিনা এসব বলে লাভ হবে না। কারণ এই বিজ্ঞাপনের তীব্র বিরোধিতা করেছেন একজন জননেতা। তিনি বিজেপি নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রা। আগুনে ঘি ঢালার কাজটা তিনিই করেছেন। যার পর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিজ্ঞাপনটিকে তুলেই নিয়েছে ডাবর। নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়েছে সংস্থাটি। ফ্যাব ইন্ডিয়ার গল্পটাও প্রায় এক। বিখ্যাত পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থা ফ্যাব ইন্ডিয়া তাদের দিওয়ালি কালেকশনের একটি বিজ্ঞাপন ‘জশন-এ-রিওয়াজ’ নাম দিয়ে প্রকাশ করে। তারপরেই শুরু হয় বিতর্ক। অভিযোগকারী নেটিজেনদের বক্তব্য, “এই ধরনের পোশাক হিন্দুদের নয়, এটি মুঘল স্টাইলের ফ্যাশন।” ‘জশন-এ-রিওয়াজ’ নামটি নিয়েও আপত্তি অনেকের। এক্ষেত্রেও মাঠে নামেন এক বিজেপি সাংসদ।
শুনে নিন বাকি অংশ।