বুধবার সোনু সুদের অফিসে তল্লাশি চালায় আয়কর দপ্তর। বৃহস্পতিবার সকালে সোনুর মুম্বইয়ের বাড়িতে হাজির হন আয়কর আধিকারিকরা। বিরোধী দলগুলি ও নেটিজেনদের বক্তব্য, আয়কর-টয়কর নয়, করোনাকালে অসহায় পরিযায়ীদের সাহায্য করা ও অরবিন্দ কেজরিওলের সঙ্গে বৈঠক করার ‘অপরাধেই’ মোদি সরকারের ‘রাজনৈতিক প্রতিশোধ স্পৃহা’র মুখে পড়েছেন বলি অভিনেতা।
প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা, পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোই কি কাল হল অভিনেতা সোনু সুদের? না-কি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকের কারণে হেনস্থা? এমন কটু কথা উঠছে কেন?
যেহেতু সোনু সুদের অফিসে, বাড়িতে চলছে লাগাতার আয়কর হানা। প্রথমে, বুধবার রাতে অভিনেতার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ এনে তাঁর অফিসে তল্লাশি চালায় আয়কর বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকালেও অব্যাহত সেই তল্লাশি। বুধবার সোনুর অফিস-সহ ছ’টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে সোনুর মুম্বইয়ের বাড়িতেও হাজির হয়েছেন আয়কর আধিকারিকরা। কিন্তু কেন হঠাৎ সোনুর উপরে আয়কর দপ্তরের বাঁকা নজর?
বলা হচ্ছে, সোনুর সঙ্গে লখনউয়ের একটি আবাসন সংস্থার বিশেষ চুক্তি হয়েছে, ওই চুক্তিতে না-কি বড় অঙ্কের কর ফাঁকি দিয়েছেন বলি অভিনেতা। যদিও এই কথা মানতে রাজি নয় নেটিজেনরা। তাদের বক্তব্য, সবটাই বিজেপির ‘প্রতিশোধ স্পৃহা’। কেন বিজেপির চক্ষুশূল হলেন সোনু?
আরও শুনুন: Special Olympics: এবার ভারতের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর Sonu Sood
তারও উত্তর রয়েছে সোনুর ভক্তদের কাছে। তাদের বক্তব্য, করোনাকালে মোদি সরকারের হঠাৎ লাগু করা লকডাউনে অসহায় হয় পড়েন অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক। যার তীব্র সমালোচনা করে বিরোধীরা। সেই সময় পরিযায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সোনু। তাঁদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থাও করেছিলেন। এছাড়াও সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন সোনু। যে বৈঠকের পর সোনু রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন বলেও জল্পনা ছড়ায়। তারপরেই তাঁর অফিসে, বাড়িতে আয়কর হানায় মন্দ গন্ধ পাচ্ছেন নেটাগরিকরা। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সোনুর পাশে দাঁড়িয়ে ইঙ্গিতবাহী টুইট করেছেন কেজরিওয়াল। বিবৃতি দিয়েছেন আম আদমি পার্টির অন্য নেতারাও। তাঁরা কী বলছেন?
কেজরিওল পোস্ট করেছেন, সত্যের রাস্তায় বাধা আসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্যেরই জয় হয়। ভারতের কয়েক লাখ পরিবারের শুভাকাঙ্খা রয়েছে সোনুজির সঙ্গে, যাঁরা বিপদের সময় সোনুজির সাহায্য পেয়েছেন। অন্য দিকে আপের অন্যতম নেতা রাঘব চাড্ডা সরাসরি তোপ দেগেছেন। তাঁর কথায়, সোনু সুদ একজন মসিহা, যিনি অসংখ্য গরিবকে সাহায্য করেছেন, যাঁরা কেন্দ্রের নীতির কারণে অনাথ হয়ে পড়েছিল। মোদি সরকার আসলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, এই আয়কর হানা সে কথাই প্রমাণ করল।
আরও শুনুন: ‘হিন্দুরা সহনশীল বলেই ভারত কখনও আফগানিস্তান হবে না’, বিতর্কের মুখে জবাব জাভেদ আখতারের
যদিও বিজেপির দাবি, সোনুর বিরুদ্ধে তদন্তে কোনও রাজনীতি নেই। রুটিন বিষয়। তবে সে কথা মানতে রাজি নয় বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে দেশের সাধারণ নাগরিকদের একাংশ। সব মিলিয়ে ফের খবরে সোনু। তবে কি-না অন্য ভঙ্গিতে।