পৌরসংস্থার কল খুললেই আমেদাবাদের সরখেজে বের হচ্ছে দিশি মদ। এমনটা অভিযোগ স্থানীয়দের। যদিও সে কথা মানতে চায়নি প্রশাসন। তাদের দাবি, জলের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আদতে পাইপ লাইনের গোলোযোগে পানীয় জলের সঙ্গে মিশে গিয়েছে নর্দমার নোংরা জল। সত্যি কি তাই?
এ যেন পাঁড় মাতালের স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ঘটনা। ঘরের কল খুললেই না-কি বেরোচ্ছে দিশি মদ! হুলুস্থুলু পড়ে গেছে আমেদাবাদের সরখেজ এলাকায়। যদিও স্থানীয় প্রশাসন বলছে, ঘটনা তেমন নয়, তবে কি-না পাইপ লাইনের গোলোযোগে পানীয় জলের সঙ্গে মিশে গিয়েছে নর্দমার নোংরা জল। তাতেই হয়েছে বিপত্তি। বাসিন্দারা নর্দমার প্রসঙ্গটি মেনে নিলেও পৌরসংস্থার যুক্তি পুরোপুরি মানতে নারাজ। এই বিষয়ে স্থানীয় 40টি বাড়ির বাসিন্দা একমত। কী বলছেন তাঁরা?
তাঁরা অভিযোগ করেন, ঘরের কল খুললেই পৌরসংস্থার জলের বদলে বের হচ্ছে দিশি মদ। সব সময় মদ না, তবে যে জল বেরোচ্ছে তাতে ঝাঁজাল মদের গন্ধ দিশাহারা অবস্থা। কিন্তু এমনটা কী করে সম্ভব?
আরও শুনুন: ভ্যাকসিনের ভায়াল দিয়ে ঝাড়বাতি তৈরি করে তাক লাগালেন নার্স
তারও যুক্তি আছে স্থানীয়দের কাছে। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার কোনও কোনও বাড়িতে গোপনে দিশি মদ প্রস্তুত করা হয়। বিক্রি না হওয়া মদ তারা নর্দমায় ফেলে দেয়। সেই মদ পৌরসংস্থার জল মিশে ঘরে ঘরে পৌঁছচ্ছে। এই কাণ্ড নাকি গত একমাস ধরে চলছে। স্থানীয়রা ইতিমধ্যে জলের নমুনা পৌরসভার আধিকারিকদের দিয়েওছেন। অন্যদিকে পৌরসংস্থার দাবি, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দিয়ে জলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট কী বলছে?
আরও শুনুন: বাংলায় ঢাকে কাঠি পড়ার আগেই কাশ্মীরে দেখা দিলেন মা দুর্গা, উদ্ধার ১২০০ বছরের পুরনো মূর্তি
না, রিপোর্টে দিশি মদের কথা নেই। তবে সরখেজের জলে রয়েছে বিপজ্জনক মাত্রায় ই-কোলি ও বর্জ্য পদার্থ। এই জল পান করলে যে কারও অসুস্থ হওয়ার কথা। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, আগেই প্রশাসনকে অভিযোগ জানানো উচিত ছিল। কেন জানানো হয়নি বুঝতে পারছি না। এলাকায় বড় অসুখ দেখা দিতেই পারত। মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত। অতএব, বিষয়টি যে মোটেই মজার নয়, তা উপলব্ধি করেছে প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দারা।