মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা। এমনিতে তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে জানা যায়নি। ফিটনেস নিয়েও ছিলেন যথেষ্ট সচেতন। তাঁর এই আকস্মিক প্রয়াণই অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কেন যথেষ্ট ফিট থাকা সত্ত্বেও তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছেন হৃদরোগে? এ বিষয়ে চিকিৎসকরা কী বলছেন, আসুন শুনে নেওয়া যাক।
অল্প বয়সে সিদ্ধার্থ শুক্লার চলে যাওয়া অনেককেই হতবাক করে দিয়েছে। স্বাস্থ্যসচেতন একজন তরুণ কী করে এমন ভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন, তা ভেবে উঠতে পারছেন না অনেকেই। প্রশ্ন জাগছে অনেকের মনেই। প্রায় সবরকম নিয়ম মানা সত্ত্বেও কেন এই প্রজন্মের তরুণরা হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি করে?
আরও শুনুন: চলছে Work From Home, প্রেমের দফারফা! সম্পর্কে চিড় তাহলে সামলাবেন কীভাবে?
এর নির্দিষ্ট উত্তর আছে চিকিৎসকদের কাছে। তাঁরা বলছেন, নিয়মিত ব্যায়াম বা স্বাস্থ্যকর খাবার-দাবার খাওয়া বা ডায়েট মেনটেন করে চলা নিশ্চয়ই খুব জরুরি জিনিস। কিন্তু শুধু তা করলেই যে হৃদরোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে, এমনটা নয়। কেননা, এইসময় সবথেকে মাথাব্যথার কারণ যেটি হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা হল স্ট্রেস। এই স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকসময়ই তারা অ্যালকোহলের আশ্রয় নিচ্ছে বা ধূমপায়ী হয়ে উঠছে। এর ফলে শরীরে যে হরমোনগত পরিবর্তন হচ্ছে, তা সরাসরি হৃদরোগের কারণ হয়ে উঠছে।
আরও শুনুন: ভ্যাকসিন নিয়েও ফিরতে পারছেন না স্বাভাবিক জীবনে, Cave Syndrome নয় তো!
জানা যায়, জিনগত কারণেই এশিয়াবাসীরা হৃদরোগপ্রবণ। তা নিয়ে আলাদা করে কিছু করার নেই। পশ্চিমী দেশের তুলনায় এখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একটু তাই বেশিই থাকে। তরুণদের তাই সতর্ক থাকারই পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা। তাঁরা বলছেন, আধুনিক জীবনযাপনও বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম একটি কারণ। পেশাগত জীবনে প্রতিদিন নিজেদেরকে প্রমাণ করার তাগিদে, অর্থ উপার্জনের খাতিরে তরুণরা এতটা স্ট্রেস নিয়ে ফেলেন যে, বহু ক্ষেত্রেই নিজেদের স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে তাঁদের খেয়াল রাখার সময় হয় না। এই যে সারাক্ষণ চাপ নিতে থাকা জীবনশৈলী তৈরি হয়েছে, এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে তরুণদের উপর। এ বিষয়ে আরও মনোযোগ দিতে হবে বলেই মত তাঁদের।
তাহলে, হৃদরোগ এড়াতে কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত চেক আপ করতে হবে। ব্যায়ামা বা ডায়েট তো আছেই। পাশাপাশি যেন স্ট্রেস কমানোর দিকেও খেয়াল রাখা হয়। মেডিটেশন করার উপরও জোর দিচ্ছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে জীবনযাত্রা নিয়ে সচেতনতাই যে আমাদের হৃদরোগ থেকে দূরে রাখতে পারে, এমনটাই মত তাঁদের।