রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্ত। নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। ত্রিপুরায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুমকি বিজেপি বিধায়কের। শরিয়তি আইন জারির সাফ ঘোষণা তালিবানের। NDA পরীক্ষায় বসার অনুমতি মেয়েদেরও। শুনে নিন আজকের বিশেষ বিশেষ খবর।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 18 আগস্ট 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- ভিড় এড়াতে বাড়বে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের সংখ্যা, তৎপর মুখ্যমন্ত্রী
আরও শুনুন: 17 আগস্ট 2021: বিশেষ বিশেষ খবর- আফগানিস্তান নিয়ে উদ্বেগ, জরুরি আলোচনায় ভারত-মার্কিন বিদেশমন্ত্রক
বিস্তারিত খবর:
1. ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ-এর। বাড়ি ভাঙচুর করা, আগুন লাগানো, মারধর করা, ঘরছাড়া করার মতো অপেক্ষাকৃত কম অশান্তির ঘটনায় সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রিপোর্ট জমা দিতে হবে আগামী ছ’সপ্তাহের মধ্যে।
গত ২ মে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসে তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগ, তারপর থেকেই ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রায় অশান্ত হয়ে ওঠে বাংলা। সেই অভিযোগে একাধিক পিটিশন জমা পড়ে কলকাতা হাই কোর্টে। হাই কোর্ট অভিযোগ খতিয়ে দেখে গত ১৮ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয়। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের রায় এই কমিটির দাবিতে কার্যত সিলমোহর দিল। তিন IPS আধিকারিকের নেতৃত্বে গঠিত হবে সিট। পাশাপাশি, ভোট পরবর্তী হিংসায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। দুই তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও পার্থ ভৌমিক এই মামলায় যুক্ত হতে চেয়েছিলেন। তাঁদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
হাই কোর্টের রায়ে যথেষ্ট অখুশি রাজ্য সরকার। টুইটে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সিবিআইয়ের হস্তক্ষেপ নিয়ে বিরক্ত সাংসদ সৌগত রায়-ও। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনাচিন্তাও চলছে। যাতে শীর্ষ আদালতে এ নিয়ে মামলা দায়ের হলে তাঁদের অজ্ঞাতসারে শুনানি না হয়, সেইজন্য সুপ্রিম কোর্টে আগাম ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন অন্যতম মামলাকারী অনিন্দ্যসুন্দর দাস।
2. ত্রিপুরার অব্যাহত তৃণমূল ও বিজেপি সংঘাত। ত্রিপুরায় গিয়ে বারবার হামলার শিকার তৃণমূল নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে উস্কানিমূলক ভাষণ বিজেপি বিধায়ক অরুণ ভৌমিকের। পালটা গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব তৃণমূল।
বুধবার ত্রিপুরার বিলোনিয়ায় দলীয় সভায় বিজেপি বিধায়ক বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিতে ত্রিপুরা সরকারের উপর আঘাত হানার চেষ্টা চলছে। আমি আপনাদের কাছে আবেদন করব, তালিবানি কায়দায় এদের আক্রমণ করতে হবে। বিমানবন্দরে নামামাত্রই আক্রমণ করতে হবে এদের।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই হোটেলে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন যুব তৃণমূল সভাপতি সায়নী ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা-কর্মী। অভিযোগ, হোটেলে রীতিমতো ফতোয়া জারি করা হয়। রাজনৈতিক আলোচনায় বাধা দেওয়া হয়। চাওয়ার পরেও দেওয়া হয়নি খাবার। এমনকী দীর্ঘক্ষণ পাঁচতারা হোটেলে লোডশেডিং করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। হেনস্তার শিকার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়-ও। একাধিক হোটেলে তাঁকে থাকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। শেষমেশ একটি হোটেলে বুধবার রাতটুকু থাকলেও বৃহস্পতিবার ভোরেই সেখান থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল নেতা। কার্যত তালিবানি কায়দায় ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
বিশেষ বিশেষ খবর শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।