করোনাকে রুখতে খেতে হবে প্রচুর প্রোটিন। মাছ,মাংস, ডিম রোজ খাচ্ছেন। ওতে আর রুচি নেই। কিন্তু প্রোটিন তো চাই-ই চাই। জানেন কি সয়াবীন মেটাতে পারে আপনার রোজকার প্রোটিনের চাহিদা।
সয়াবিনের কথায় নাক সিঁটকোয় অনেকেই। যাঁরা রোজ মাছ, মাংস, ডিম খেয়ে অভ্যস্ত তাঁদের কাছে সয়াবিনের স্বাদ জিভে লেগে থাকার কথা নয়। আবার অনেকেই আছেন, রান্না করার আগেই সিদ্ধ সয়াবীন খেয়ে ফেলেন। সয়াবিনের এত রকমের জিনিস বাজারে পাওয়া যায় যা দিয়ে আপনি ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার করতে পারেন। সয়াবিনের কেক, বিস্কিট থেকে পোলাও, চিলি সয়াবিন সব কিছুই শুধু পুষ্টিগুণে ভরপুরই নয়, রসনার বাসনা মেটাতেও সক্ষম। সয়াবিনে আছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস, গুড ফ্যাট, ফাইট্রোনিউট্রিয়েন্ট। এককথায় সয়াবিন হল পাওয়ার হাউস অফ নিউট্রিশন।
আরও শুনুন:Made for each other হবেন কীভাবে? মেনে চলুন এইসব tips
সয়াবিনের জন্ম কোথায় শুনলে বিষম খেতে পারেন। মনে করা হয় এখানে করোনা ভাইরাসেরও জন্ম। যদিও এটা এখনও প্রমাণ করা যায় নি। ঠিক ধরেছেন চীন। এখান থেকেই ক্রমশ জাপান ও বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এখন প্রায় সব দেশেই কমবেশি সয়াবিনের চাষ করা হয়। ইউনাইটেড স্টেটসে সবথেকে বেশি সয়াবিন পাওয়া যায়। আর ভারতে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, আর রাজস্থানে। এখান থেকেই বোঝা যায় প্রধানত নিরামিশাষীদের মধ্যেই সয়াবীনের কদর বেশি। কিন্তু জানেন কি আমিষ খাবারের থেকেও সয়াবীন মেটাতে পারে আপনার রোজকার প্রোটিনের চাহিদা। কীভাবে?
আরও শুনুন:মুড়ি খেতে অরুচি! ঘরোয়া এই খাবারটি কত রোগ সারিয়ে দেয় জানেন?
১০০ গ্রাম সয়াবীন থেকে ৪৩.২ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়া ফ্যাট, ডায়েটারি ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রণ, কপার, সালফার ,সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রচুর নিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। সয়াবীনের মধ্যে থাকে লাইসিন ভাতের সঙ্গে মিশলে এর গুণগত ও কার্যগত মান আরও বেড়ে যায়। সয়াবীনে ওমেগা থ্রি এতটাই থাকে যে মাছের বিকল্প হিসাবে সয়াবীন খাওয়া যায়। যারা আমিষ খান না, তাঁরা প্রতিদিন সয়াবীন খেলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হবে না। তবে রোজ ২০-৩০ গ্রামের বেশি খাবেন না।
সয়াবীন শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের ঘাটতি মিটিয়ে আমাদের ব্রেনকে সুস্থ রাখে। সয়াবীনের মধ্যে যে দ্রবনীয় ফাইবার থাকে তা কোলস্টেরল ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।
বাকিটা শুনে নিন প্লে বাটন ক্লিক করে।