ফের ধুলোয় মিশল মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের মূর্তি। পাকিস্তানি মৌলবাদীরা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল মহান এই রাজার মূর্তি। ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে ভারত।
এই নিয়ে তিনবার। লাহোরে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মহারাজা রঞ্জিত সিংয়ের মূর্তি। ২০১৯-এ স্থাপিত হয় এই ব্রোঞ্জের মূর্তি. সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দুজন উগ্রপন্থী আঘাত করে করে ভেঙে ফেলছে মূর্তিটি। ভাঙার পর রীতিমতো উল্লাস করতেও দেখা যাচ্ছে তাদের। জানা যাচ্ছে, তেহরিক-ই-লাবাইক পাকিস্তান বা টিএলপি নামক উগ্রপন্থী সংগঠনের সদস্যদের হাতেই আরও একবার ধ্বংস হল মহারাজ রঞ্জিত সিংয়ের মূর্তি। পরে অবশ্য গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত দুজন।
আরও শুনুন: তালিবান মেরে ফেললেও মন্দির ছেড়ে পালাতে নারাজ হিন্দু পুরোহিত
শিখ রাজা রঞ্জিত সিং-এর প্রায় চল্লিশ বছরের শাসনকাল আজও মনে রেখেছে ইতিহাস। ধর্ম, সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি যেভাবে সকলের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা উদাহরণ হয়ে আছে পৃথিবীর সামনে। কোনওরকম ধর্মীয় গোঁড়ামি ও সামাজিক অসাম্যকে তিনি জায়গা দেননি। সেই মহারাজার মূর্তি বারবার ভেঙে দেওয়া আসলে সমানাধিকারের উপরই আঘাতের সমান।
আরও শুনুন: মোছা হচ্ছে বিজ্ঞাপনে মেয়েদের ছবি, তালিবানি ফতোয়ার রূপ দেখছে বিশ্ব
লাহোরে মূর্তিটি যেখানে স্থাপিত, তার চারপাশে থাকে কড়া নিরাপত্তার বলয়। তা ভেদ করেও বারংবার মূর্তি ভাঙা কী করে সম্ভব হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর আগেও দু-বার মূর্তির উপর আঘাত নেমে এসেছিল।
ঘটনায় চুপ করে বসে নেই ভারত। এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিদেশমন্ত্রক। জানিয়েছে, পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশ মাত্রা ছাড়াচ্ছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সংখ্যালঘুর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপর যেভাবে আঘাত নেমে এসেছে, তাই-ই বুঝিয়ে দিচ্ছে সংখ্যালঘুর প্রতি পাকিস্তানি সমাজে ঠিক কতখানি সম্মান বরাদ্দ রয়েছে। পাকিস্তান এই ধরনের আক্রমণ রুখতে পুরোপুরি ব্যর্থ। এর ফলে সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভয় ক্রমশ বাড়ছে। পাকিস্তান সরকারের কাছে আমাদের আরজি, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক সরকার।
আরও শুনুন: আবার কি ফিরছে যৌনদাসী প্রথা! অন্ধকার যুগের আতঙ্কে কাঁটা আফগান মহিলারা
পাকিস্তান সরকারের তরফে অবশ্য পুরো ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।