‘চন্দন সা বদন’… । এ শুধু গানের কথা নয়, অনেকের মনের কথাও। মসৃণ, উজ্বল ত্বককে এভাবেই চন্দনের সঙ্গে তুলনা করা হয়। প্রাচীন শাস্ত্র থেকে আধুনিক রূপচর্চা সব জায়গায় চন্দনের সুগন্ধ জড়িয়ে আছে। মর্ত্যলোকের সাধারণ মানুষই শুধু নন, দেবলোকও এর সৌরভে মত্ত।
সেই প্রাচীনকাল থেকেই চন্দনের চর্চা চলে আসছে। সম্ভবত ভারতেই চন্দনের জন্ম। তবে যদি পুরাণের কথা ধরি, তাহলে চন্দন ব্যবহার করতেন স্বর্গের দেব-দেবীরাও। পুরাণে এমন অনেক কাহিনি আছে, যেখানে চন্দন সমাদৃত ছিল দেবদেবীর অঙ্গরাগে। কথিত, মা দুর্গা তাঁর প্রিয় পুত্র গণেশের মূর্তি তৈরির সময় চন্দন ব্যবহার করেছিলেন। সেই মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করার পর জন্ম নেন গণেশ। বাবা শিবেরও নাকি শ্বেত চন্দন খুব প্রিয়। তাঁর তাণ্ডবরত রূপকে শান্ত করা হত চন্দনের প্রলেপ দিয়ে। এখনও তো বিষ্ণুরূপী শালগ্রাম শিলাকে চন্দন মাখিয়ে রাখা হয়। শ্রী জগন্নাথেরও খুব প্রিয় এই চন্দন। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রতিবছর অক্ষয় তৃতীয়া থেকে বৈশাখী পূর্ণিমার দিন অবধি প্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার চন্দন প্রলেপে অঙ্গরাগ করা হয়। এই একই রীতি প্রচলিত বৃন্দাবনে। সেখানে রাধাকৃষ্ণের অঙ্গরাগ করা হয় চন্দনের প্রলেপে। হিন্দুদের পুজো উপাচার চন্দন ছাড়া অসম্পূর্ণ। প্রাচীনকালে প্রচণ্ড দাবদাহে সারা শরীরে চন্দনের প্রলেপ দিয়ে শরীর জুড়োনোর রেওয়াজ ছিল। মহার্ঘ এই গাছটি আধুনিক রূপচর্চায়ও তার পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে। এই আয়ুর্বেদিক মহৌষধির গুণমুগ্ধ এই প্রজন্মও।
আরও শুনুন – Made for each other হবেন কীভাবে? মেনে চলুন এইসব tips
রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার জানতে আগ্রহী সবাই। আসুন এবার সেদিকেই কান দেওয়া যাক।
আরও শুনুন – মুড়ি খেতে অরুচি! ঘরোয়া এই খাবারটি কত রোগ সারিয়ে দেয় জানেন?
আমাদের চিকিৎসাশাস্ত্রে নানা দিক রয়েছে, চন্দনের জায়গা সেখানে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে। চন্দনের তেল ও চন্দনের গুঁড়ো রূপচর্চার নানা দিকে ব্যবহার করতে পারি। শরীরকে ঠান্ডা রাখতে প্রাচীনকাল থেকে এখনও চন্দনের ব্যবহার হয়ে আসছে। চন্দনের প্রলেপ আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল করতে ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে চামড়ায় দেখা যায় বলিরেখা। বলিরেখা মানেই সব সৌন্দর্যই মাটি। এখানেই ম্যাজিকের মতো কাজ করে চন্দন। সপ্তাহে অন্তত দুদিন ত্বকের পরিচর্যায় চন্দন ব্যবহার করুন। ফলটা না হয় নিজের চোখেই দেখবেন।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।