মিকি মাউস। কার্টুন চ্যানেলে, টিশার্টে, স্টিকারে, ব্যাগে, রুমালে, কোথায় সে নেই! কিন্তু জানেন কী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল তার নাম! শুনবেন নাকি তার গল্প?
মহাভারত যখন লেখা হয়েছিল, বেদব্যাস বা গণেশ ত্রিকালজ্ঞ হলেও সম্ভবত আন্দাজ করতে পারেননি যে আধুনিক পৃথিবীতে এমন কোনও বিশাল মাপের যুদ্ধ হতে পারে। আরে, মানুষ তো দিনের শেষে দু’মুঠো খেয়েপরে শান্তিতে বাঁচতে চায়। দিনের পর দিন আধপেটা খেয়ে, না ঘুমিয়ে, পরিবার পরিজন ছেড়ে গুলিগোলার মধ্যে বসে থাকতে কে চায়! কিন্তু, ক্ষমতার লোভ যে বড় লোভ। তাই, বিশ শতকের পৃথিবীতে একবার নয়, দু’দুবার এরকম দুটো যুদ্ধ বাধল। আমরা যাদের নাম দিয়েছি প্রথম আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। এই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো ভয়ংকর বিধ্বংসী যুদ্ধ আজ পর্যন্ত আর হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই যুদ্ধে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় তিন শতাংশ লোকই মারা গিয়েছিল। এক ইউরোপেই সরকারি হিসেবে মৃত ১৫ থেকে ২০ লক্ষ লোক। সংখ্যাটা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রায় দ্বিগুণ।
আরও শুনুন: আমেরিকার রাষ্ট্রপতির জন্যই জন্ম টেডি বিয়ারের, কীভাবে জানেন?
নাহ, যুদ্ধের গল্প শোনাতে বসিনি। শোনাব একটা ইঁদুরের কথা। তাও সে জ্যান্ত নয়, তাকে দেখা যায় ছবিতে। কিন্তু তার কথা বলতে গিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রসঙ্গ না এনে উপায় নেই। কেন জানেন? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সবচেয়ে বড়ো লড়াই হল নর্মান্ডি উপকূল দখলের জন্য যুদ্ধ। আর এই লড়াইটার কোড নেম কী ছিল জানেন? মিকি মাউস!
আরও শুনুন: Egg Mountain: কীভাবে ডিম পাড়ে পাহাড়? শুনুন সেই গল্প
এমন জনপ্রিয়তা একটা পুঁচকে নেংটি ইঁদুরের! আজ্ঞে হ্যাঁ। বলুন তো, কার্টুন চ্যানেলে, টিশার্টে, স্টিকারে, ব্যাগে, রুমালে, কোথাও না কোথাও, কখনও না কখনও, আপনার সঙ্গে কি জুড়ে যায়নি মিকি মাউস? অথচ জানেন কী, কোনও আলো ঝলমলে, বড়োলোক স্টুডিওতে মিকির জন্মই হয়নি! তার জন্ম বা বেড়ে ওঠার পথটা মোটেই খুব সহজ ছিল না। এমনকি, তার জন্মের সময় তার জনক নিজেই ছিলেন কাঠ বেকার!
মিকি মাউস কে বানিয়েছেন, সব্বাই জানে। হ্যাঁ, ওয়াল্ট ডিজনির কথাই বলছি। একটা প্রচলিত গল্প আছে, ডিজনির স্টুডিওতে আনাগোনা ছিল একটা ইঁদুরের। একদিন কী খেয়ালে ডিজনি তাকে খাতায় ধরে ফেললেন।
বাকি গল্প শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।