একা লড়ে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে বাংলার ক্ষমতায় ফিরবে তৃণমূল। সাফ জানালেন দলনেত্রী মমতা। পরিষদীয় বৈঠকে বুঝিয়ে দিলেন, তিনিই শেষ কথা। রীতি মেনে শুরু রাজ্য বাজেট অধিবেশন। বাংলায় উৎসব শান্তিপূর্ণ, দ্বন্দ্ব ভুলে বিধানসভায় প্রশংসা রাজ্যপালের। চিৎকার করে থামাতে চাইলেন বিরক্ত শুভেন্দু। শহরে বেআইনি নির্মাণ ভাঙা নিয়ে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি। পুলিশ ব্যর্থ হলে আধাসেনা মোতায়েনের নির্দেশ আদালতের। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় শুনানি শেষ, স্থগিত রায়দান। আমেরিকা সফর শুরু মোদির।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। ওই ভোটেও বাংলায় ফের উঠবে সবুজ ঝড়। দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন নিয়ে আবারও ক্ষমতায় ফিরবে তৃণমূল। সোমবার বিধানসভায় তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠকে সাফ জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রত্যেক বিধায়ক। মমতার কথায়, ‘দিল্লিতে কংগ্রেস আপকে সাহায্য করেনি। আবার হরিয়ানাতে আপ কংগ্রেসকে সাহায্য করেনি। তাই দুই জায়গায় বিজেপি জিতে গিয়েছে। সবাইকে একসঙ্গে থাকতে হবে। তবে বাংলায় কংগ্রেসের কিছু নেই। একাই লড়ব। আমরা একাই যথেষ্ট। দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসন পাব। আমরা চতুর্থবার সরকার গড়ব।’ পাশাপাশি এদিন দলীয় বিধায়কদের সতর্ক করে দেন মমতা। বলেন, ‘বিজেপি ভোটে জেতার জন্য ভিনরাজ্যের ভোটারদের ভোটার তালিকায় নাম তুলে দেবে। সতর্ক হতে হবে।’ তবে এদিনের বৈঠকে মমতা স্পষ্ট বৈঠকে বুঝিয়ে দিলেন, দলে তিনিই শেষ কথা। নির্বাচনে কারা টিকিট পাবে, সংগঠনের তৃণমূল স্তরে সময়ের দাবি মেনে কখন এবং কতটা রদবদল করা হবে, সেই সমস্ত সিদ্ধান্ত মমতাই নেবেন। তাঁর ইঙ্গিত, নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূলের সমস্ত শাখা সংগঠনের সভাপতি পদে বদল করা হবে। পাশাপাশি, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আপ ও কংগ্রেসের মুখোমুখি লড়াই ও লজ্জার হারে কড়া বার্তা শোনালেন তৃণমূল নেত্রী। জানিয়ে দিলেন, বিজেপিকে রুখতে গেলে এক হতে হবে ‘ইন্ডিয়া’কে। তা না হলে এর পরিণতি দিল্লি বা হরিয়ানার মতোই হবে বলে বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
2. রীতি মেনে শুরু হল বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। সূচনা ভাষণে বাংলার ঢালাও প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, সদ্য শেষ হওয়া বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি। এমনিতে নবান্ন ও রাজভবনের মতানৈক্য নতুন নয়। কিন্তু এদিন রাজ্যপাল প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন রাজ্যকে। তাঁর কথায়, ‘আমি অত্যন্ত গর্বিত যে দুর্গাপুজো, কালীপুজো, দীপাবলি, ইদ, বড়দিন, বুদ্ধজয়ন্তী, গুরুনানক জয়ন্তী, মহাবীর জয়ন্তী, ছটপুজো, গঙ্গাসাগর মেলা-সহ অন্যান্য সবকটি প্রধান উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়েছে।’ তবে রাজ্যে একের পর এক প্রশংসা শুনে রীতিমতো বিরক্ত হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চিৎকার করে ওঠেন বিধানসভাতেই। বলা যাচ্ছে, বেশ উদ্ধত ভঙ্গিমায় এদিন রাজ্যপালকে চুপ করতে বলেন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার এই আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিধানসভায় বসে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সামনে এহেন আচরণ মোটেও শোভনীয় নয় বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।