মার্কিন সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির বৈঠকে ঠিক কোন কোন বিষয় উঠে আসবে, সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। এই আবহে মোদির সাক্ষাৎকার নেওয়ার ঘোষণা করে চর্চায় মার্কিন সাংবাদিক। ঠিক কেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
প্রধানমন্ত্রী মোদির সাক্ষাৎকার নেবেন মার্কিন সাংবাদিক। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এর আগেও এমনটা হয়েছে বহুবার। তবে এক্ষেত্রে বিষয়টা একটু আলাদা। মোদির সাক্ষাৎকার নিয়ে এই মার্কিন বাসিন্দা এতটাই উচ্ছ্বসিত যে ঘটা করে পোস্ট করেছেন সোশাল মিডিয়ায়। আর সেই পোস্ট ঘিরেই শুরু হয়েছে নয়া চর্চা।
আরও শুনুন:
বাজারের হিসাবে চোস্ত, এদিকে পরীক্ষার খাতায় শূণ্য! ভারতে খুদেদের অবস্থা এমন কেন?
কিন্তু কেন?
আসলে, নিজের সোশাল মিডিয়া পোস্টে মোদি সম্পর্কে এমনই কিছু কথা লিখেছেন ওই সাংবাদিক, যা দেখে আবেগে ভেসেছেন মোদি ভক্তরা। এমনিত মোদির জনপ্রিয়তা যে বিশ্বজনীন, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। এর আগেও বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জনপ্রিয় বিশ্বনেতার তালিকায় মোদির নাম বেশ উপরের দিকে। বিভিন্ন রাষ্ট্রের নেতাদের জনপ্রিয়তার নিরিখে ছাপিয়ে গিয়েছেন মোদি, এমনটাও নতুন নয়। সেই প্রসঙ্গ ধরেই মার্কিন সাংবাদিক লেক্স ফ্রিডম্যান মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। যদিও তাঁকে সাংবাদিক বলা যায় না, বরং পুরোদস্তুর সাক্ষাৎকারী হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সঠিক হবে পডকাস্টার শব্দটি ব্যবহার করা। ডিজিটাল সাংবাদিকতার এই নতুন ধরণটি মোটের উপর গোটা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সমাজে যারাই পরিচিত, তাঁদের জীবন এবং কাজ সম্পর্কে মুখোমুখি বার্তালাপে জেনে নেওয়াই এই ধরনের পডকাস্টের উদ্দেশ্য। এর আগে মোদিকে ভারতের পডকাস্ট অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে। এবার পালা মার্কিন পডকাস্টারের। ঠিক কী প্রশ্ন করতে পারেন ফ্রিডম্যান, সে ব্যাপারে সঠিক ধারণা নেই কারও, তবে তিনি যে কোনওভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বিপাকে ফেলবেন না, বা অপমান করবেন না তা তাঁর সাম্প্রতিক পোস্ট দেখে অনায়াসে বোঝা যায়।
নিজের পোস্টে, ব্যক্তি মোদির গুণগান গেয়েছেন ফ্রিডম্যান। উল্লেখ করেছেন, মোদি কীভাবে নিজের কর্মদক্ষতায় সকলের কাছে পরিচিত হয়েছেন সেই প্রসঙ্গও। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, মোদির উপোস থাকার কথা। একটানা দীর্ঘদিন উপোস থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, একথা এর আগেও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। তবে ফ্রিডম্যান উল্লেখ করেছেন রামমন্দির প্রতিষ্ঠার সময় যে টানা ৯ দিন উপবাস ছিলেন মোদি, সেই কথা। আর তাই তিনি নিজেও উপোস থেকেই মোদির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। ফ্রিডম্যানের কথায়, মাঝেমধ্যেই তিনি উপোস থাকেন। শরীরের জন্য এমনটা করা ভালো বলে দাবি জানিয়েছেন। তাই মোদির সঙ্গে দেখার করার আগে অন্তত ৭২ ঘণ্টা স্রেফ জল খেয়েই কাটাতে চান ফ্রিডম্যান। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই পোস্ট দেখে মোদি ভক্তরা আপ্লূত। কেউ কেউ বলছেন, সবটাই প্রচারের কৌশল। তবে তা যদি হয়ও, তবু ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য এইভাবে লিখছেন এক মার্কিন ব্যক্তি, সেটাই বা কম কীসের, এমনটাও দাবি করছেন অনেকে।