সিনেমায় যাঁকে দেখা যায় মূলত নেগেটিভ রোলে, বাস্তবে তাঁর এই পজিটিভ লুক তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে। সম্প্রতি তাঁর মুকুটে নতুন পালক, স্পেশাল অলিম্পিক্সে ভারতের অ্যাম্বাসাডর।
গত দুবছরে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত একের পর এক খবর আমাদের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। এইরকম এক শোচনীয় পরিবেশে কিছু বিখ্যাত মানুষের সহযোগিতা খানিকটা আশার আলো দেখিয়েছে। আর এর মধ্যে প্রথমেই আসে যাঁর নাম তিনি সোনু সুদ। সিনেমায় যাঁকে দেখা যায় মূলত নেগেটিভ রোলে, বাস্তবে তাঁর এই পজিটিভ লুক তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিশ্ববাসীকে। সম্প্রতি তাঁর মুকুটে নতুন পালক স্পেশাল অলিম্পিক্সে ভারতের ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডর। করোনা আবহে সোনুই ছিলেন সাধারণ মানুষের ত্রাতা। তাঁর কাজ নিয়ে অনায়াসে লেখা যায় চিত্রনাট্য। করোনা আবহে যেভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, প্রায় ৪৫,০০০ পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সফলও হয়েছিলেন। অক্সিজেনের সঙ্কটে যেভাবে দায়িত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তাতে স্টারডমের তকমা ছিঁড়ে সোনু সুদ এখন সাধারণ মানুষের কাছে মসিহা।
Refugee Olympic Team: দেশ নেই যাঁদের, অলিম্পিকের মঞ্চে তাঁরাই যেন আস্ত একটা ‘দেশ’
জুহু, মুম্বই- এ নিজের হোটেল কোভিড স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিণত করেছিলেন। চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিক্যাল কর্মী-প্রত্যেকে সাহায্য পেয়েছেন। মহারাষ্ট্র পুলিশের কাজকে উৎসাহিত করতে প্রায় ২৫,০০০ ফেসশিল্ড দিয়েছিলেন তিনি। করোনায় অনাথ শিশুদের পাশেও সহায় হয়ে দাঁড়িয়েছেন। শিশুদের শিক্ষার ভার যাতে সরকার নেন তা নিয়ে সরব হয়েছেন। শুধু তাই নয় অর্থের অভাবে যে সমস্ত পড়ুয়ারা আইপিএস পরীক্ষার ব্যয়ভার বহন করতে পারছে না, তাদের জন্য বিনামূল্যে কোচিং স্কলারশিপের বন্দোবস্ত করেছেন সোনু সুদ। এবার তিনি আর এক উজ্ঝল ভূমিকায়। যা প্রকারান্তরে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। রাশিয়ায় আয়োজিত বিশেষ অলিম্পিক্সে ভারতের ব্রান্ড অ্যাম্বাস্যাডর সোনু সুদ। সোশাল মিডিয়ায় খুশির খবর ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা নিজেই। সেই সঙ্গে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রতিযোগীদের। লিখেছেন, ‘আমি গর্ব অনুভব করছি এই খবরটা সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে যে, আমি রাশিয়ায় আয়োজিত স্পেশাল অলিম্পিক্সের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে নির্বাচিত হয়েছি। আশা করছি আমাদের চ্যাম্পিয়ানরাও আমাদের গর্বিত করবে। জয় হিন্দ’।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে রাশিয়াতে অনুষ্ঠিত হবে স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড উইন্টার গেমস। শুরু হয়েছিল ১৯৬৮ সাল থেকে।
আরও শুনুন প্লে-বাটন ক্লিক করে।