খরচ করতে হবে না একটাকাও। বিনামূল্যে তাজমহলে ঢোকার সুযোগ পাবেন যে কেউ। তবে এই সুযোগ সীমিত সময়ের জন্যই মিলবে। তাজমহল কতৃপক্ষের তরফে এই ঘোষণা হতেই ভিড় জমছে আগ্রার সৌধে। ঠিক কেন মিলছে এই সুযোগ? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্য! প্রতিদিন তাজমহলকে সামনে থেকে দেখার জন্য আগ্রায় ভিড় জমান হাজার হাজার মানুষ। দেশ তো বটেই, বিদেশ থেকেও হাজির হন পর্যটকরা। বলা ভালো, ভারত ভ্রমণের বড় একটা অংশ হল এই তাজমহল ঘোরা। কিন্তু এমনি এমনি সৌধের ভিতরে ঢোকার সুযোগ মেলে না। নির্দিষ্ট মূল্যের টিকিট কাটতে হয়। সম্প্রতি সেই টিকিটের টাকাই মুকুব করেছিল কর্তৃপক্ষ। মাত্র দুদিনের জন্য হলেও, তাহমহলের অন্দরে বিনামূল্যে ঢোকার সুযোগ পেয়েছেন পর্যটকরা।
এমনিতে তাজমহলের অন্দরে উপাসনার নিয়ম নেই। সেই কাজ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন অনেকে। তবে বিশেষ উৎসবে কর্তৃপক্ষের তরফেই সেই ব্যবস্থা করা হয়। ঠিক উপাসনা হয় বলা ভুল। বরং প্রার্থনা বলা যেতে পারে। উৎসব বলতে শাহজাহানের মৃত্যুবার্ষিকী। মুসলিমদের কাছে এই দিন অত্যন্ত পবিত্র। দেশের বিভিন্ন মাজারে উরস পরব হিসেবে পালিত হয় এই দিনটি। এবছর ছিল ৩৭০তম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রতিবছর এই দিনে শাহজাহান ও তাঁর স্ত্রী মুমতাজের সমাধিতে চাদর চড়ানো হয়। কর্তৃপক্ষই সবকিছুর ব্যবস্থা করে। আর এইদিনেই বিনামূল্যে তাজমহলে ঢোকার সুযোগ পান যে কেউ। চলতি বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। টানা দুদিন তাজমহলের দরজা খোলা ছিল সাধারণের জন্য।
এইসময় সৌধের অন্দরে বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হয়। ‘কাওয়ালি’ চলে দিনভর, ভিড় জমান মূলত মুসলিমরাই। তবে শিল্পের সামনে ধর্মের ভেদ করা অসম্ভব। তাই তাজমহল দেখতেও হিন্দু-শিখ-জৈনরা আসেন দলে দলে। বিনামূল্যে ভিতরে প্রবেশের সুযোগ পেলে এঁরাও যে কাজে লাগান না এমন নয়। প্রশাসনের তরফে তাই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় এই বিশেষ দুই দিনে। কোনওভাবে বিশৃঙ্খলা না তৈরি হয় সেদিকে কড়া নজর রাখা হয়। আসলে, তাজমহলে বিতর্কের অন্ত নেই। এমনকি এই সৌধ চত্বরে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে সমস্যাও বাঁধিয়েছেন অনেকেই। তাই ভিড় বাড়লে নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতেই হয় প্রশাসনকে।