পুণ্যের টানে কুম্ভে আসবেন হিন্দু ভক্তরা। গোলাপ দিয়ে তাদের বরণ করবেন মুসলিমরা। এমনটাই চাইছেন সর্বভারতীয় মুসলিম সংগঠনের সভাপতি। ঠিক কেন এমন দাবি করছেন মৌলানা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
হিংসা নয়, ভালোবাসা! এই বার্তা দিতেই কুম্ভে আগত হিন্দু ভক্তদের বরণ করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মৌলানা। তাঁর দাবি, প্রয়াগের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন গোলাপ দিয়ে তাঁদের শহরে আসা হিন্দুদের বরণ করে নিন। শুধু তাই নয়, কুম্ভের আবহে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসাতেও পঞ্চমুখ হয়েছেন তিনি।
১৪৪ বছরের অপেক্ষা শেষে আসছে, মহাকুম্ভ। বিশেষ মুহূর্তে পুণ্যস্নানের অপেক্ষায় ভক্তরা। ইতিমধ্যেই কুম্ভে পৌঁছেছেন অনেকে। ব্যবস্থায় এতটুকু খামতি রাখতে নারাজ প্রশাসন। তবে এই আবহে হিন্দু-মুসলিম বিতর্ক মাথা চাড়া দিয়েছে। বেশ কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, কুম্ভে কোনও মুসলিম যেন না থাকে। বিশেষ করে মেলায় ব্যবসা করার অধিকার যেন স্রেফ হিন্দুরাই পান। পালটা সরব হন মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই। যারা প্রয়াগ তথা এলাহাবাদের বাসিন্দা তাঁদের কাছে এই মেলা একইরকম আবেগের। সেখানে ধর্মের ভেদ মানতেন না কেউই। মেলায় যাওয়া বা সেখানে দোকান দেওয়া সবই করতেন মুসলিমরাও। এবারে সেই নিয়ম কেন বদলাবে, সেই প্রশ্নই তোলেন তাঁরা! জবাব পালটা জবাবে বিষয়টা বেশ জটিল হয়ে ওঠে। নেটদুনিয়ায় এই নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলতে থাকে। যদিও এই ব্যাপারে সরকারি কোনও নির্দেশিকা প্রকাশ পায়নি। বরং যোগী আদিত্যনাথ জানিয়ে দেন, সনাতন ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা আর বিশ্বাস মনে নিয়ে কোনও মুসলিম যদি মেলায় আসতে চান, তবে স্বাগত। একইভাবে এবার মুসলিম সংগঠনের সভাপতির গলাতেও শোনা গেল, সম্প্রীতির সুর।
এর আগেও হিন্দু-মুসলিম ইস্যুতে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে মৌলানা সাহাবুদ্দিন রাজভি-কে। কুম্ভ প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, প্রয়াগে আগত হিন্দু ভক্তদের গোলাপ দিয়ে বরণ করে নিন স্থানীয় মুসলিমরা। সম্প্রিতীর বার্তা ছড়িয়ে দেবে এই আচরণ। কোনওভাবেই হিংসা নয়, হিন্দু ভক্তদের প্রতি তাঁদের মনোভাব হোক ভালোবাসার, এমনটাই চাইছেন মৌলানা। এখানেই শেষ নয়, এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথের প্রশংসাও করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, মেলার ব্যবস্থায় যেভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন, তা সত্যিই প্রশংসার, দাবি মৌলানার। সবমিলিয়ে মিলনের কুম্ভে ভালোবাসার বার্তাই দিতে চেয়েছেন ওই মৌলানা।