গড়তে হবে হিন্দু কর্মী বাহিনী। সেখান থেকেই নিয়োগ হবে দেশের সব মন্দিরে। দাদুর পথে হেঁটে এবার এমনই মন্তব্য করলেন রঞ্জিত সাভারকর। শুধু তাই নয়, হালাল সার্টিফিকেশন নিয়েও বিশেষ মন্তব্য করেছেন তিনি। ঠিক কী বলেছেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
মন্দিরের কর্মী হবেন স্রেফ হিন্দুরাই! কিছুদিন আগে এমনই নিয়ম জারি হয়েছিল তিরুপতি মন্দিরে। সেই নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। এবার একই সুরে গলা মেলালেন রঞ্জিত সাভারকর। এ প্রসংগে বিলতে গিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছেন বিনয় দামোদর সাভারকরের নাতি। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
গান্ধী বনাম সাভারকর! রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, ভারতীয় রাজনীতির মতাদর্শগত যে মূল ফারাক তা এই দুই শিবিরেই বিভক্ত। কিছুদিন আগে এ প্রসংগে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেইসময় কংগ্রেস নেতাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলে সাভারকরের পরিবার। বর্তমানে দাদুর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে হিন্দুত্ববাদ নিয়ে সওয়াল করতে শোনা যায় রঞ্জিত সাভারকরকে। সম্প্রতি তিনি যে মন্তব্য করেছেন, তাতেও সেই ছাপ স্পষ্ট। তাঁর দাবি, হিন্দুদের জন্য আলাদা ওয়ার্কফোর্স না কর্মীবাহিনী তৈরি করা হোক। সেখান থেকে নিয়োগ হবে দেশের বিভিন্ন মন্দিরে। কোনও ভাবেই হিন্দু মন্দিরে ভিনধর্মের কেউ কাজ না পায় তা নিশ্চিত করতেই এমন ব্যবস্থা চাইছেন রঞ্জিত। এখানেই শেষ নয় অবশ্য, হালাল সার্টিফিকেশন নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। মূলত মুসলিমদের সুবিধার জন্য এই হালাল চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। রেস্তোরাঁ থেকে বিমানের আমিষ খাবারে অবধি রাখা হয় এই বিশেষ চিহ্ন। রঞ্জিতের দাবি, হালাল-এর পালটা ওম সার্টিফিকেট চালু করা হয়। যা ব্যবহার করবেন স্রেফ হিন্দু ব্যবসায়ীরা। তাঁদের পন্য যে আলাদা, সেটা বোঝাতেই এমনটা করার কথা বলেছেন সাভারকর। বিশষ করে যারা মন্দিরের আশেপাশে ব্যবসা করেন, তাঁদের ওম সার্টিফিকেট মানতেই হবে, দাবি রঞ্জিত সাভারকরের।
আসলে, হিন্দু মন্দির চত্বরে অহিন্দুদের ব্যবসা নিয়ে বরাবরের আপত্তি হিন্দুত্ববাদীদের। এই নিয়ে বিতর্কও হয়েছে বহু। এবার সরাসরি এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন রঞ্জিত। তাঁর দাবি, এইভাবে জিহাদ বন্ধ করতে হবে। তিনি মনে করছেন, হিন্দু মন্দিরের বাইরে এমন কেউ ব্যবসা করতে পারেন না যার হিন্দুধর্মে বিশ্বাস নেই। মূর্তিপুজো বা হিন্দু ভগবান মানেন না এমন কেউ মন্দিরের জোরে রোজগার করতে পারেন না বলেই দাবি সাভারকরের। কিন্তু ধর্ম বোঝার উপায় কী? সে প্রসঙ্গেই ওম সার্টিফিকেটের কথা বলেছেন তিনি। শুধু মন্দির নয়, হিন্দু উৎসব উপলক্ষে যেসব মেলা বসে তাতেও হিন্দু ছাড়া কেউ যেন ব্যবসার সুযোগ না পান তা নিশ্চিত করতে বলছেন রঞ্জিত। তাঁর এই মন্তব্যে একদিকে যে সমর্থনের হাওয়া বইছে, অন্যদিকে তেমনই উগ্র হিন্দুত্ববাদের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন কেউ কেউ। তাই বিষয়টা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।