অনলাইনে কন্ডোম অর্ডার করেছিলেন। তার ডেলিভারি হয়েছে অফিসে। এতেই রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন যুবক। সহকর্মীদের হাসাহাসিতে অফিসে টেকা দায় হয়েছে তাঁর। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ডেলিভারি হলেও তা বাক্সে ভরে হওয়ার কথা। তাহলে সবাই জানলেন কীভাবে, কন্ডোমের কথা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
অফিসের দৌলতে বাড়িতে আর কতক্ষণ থাকা! তাই অনলাইনে কিছু কেনার হলে ঠিকানা সেই অফিসই। এমন অভ্যেস অনেকেরই রয়েছে, তাতে সমস্যাও হয় না। কিন্তু দিল্লির এক যুবক অফিসে কন্ডমের ডেলিভারি নিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন। কারণ তিনি যে কন্ডোম কিনেছেন, তা জেনে ফেলেছে অফিসের সব্বাই!
তাতেই বা সমস্যা কীসের! কন্ডোম দরকারি জিনিস, যে কেউ কিনতেই পারেন। কিন্তু অফিসে কেন এমন জিনিসের প্রয়োজন পড়বে? এই প্রশ্নই তুলেছেন সকলে। আর উত্তর দিতে দিতে নাজেহাল অবস্থা ওই যুবকের। তাঁর দাবি, সহকর্মীরা ভাবতে শুরু করেছেন, তিনি অফিসেই যৌনতায় লিপ্ত হন। এমন কথা চাউড় হলে অস্বস্তি হতে বাধ্য! অফিসে কার সঙ্গে তাঁর এমন সম্পর্ক থাকতে পারে, সেই প্রশ্নও উঠছে। সবমিলিয়ে বিষয়টা এমনই পর্যায়ে পৌঁছেছে অফিসে টেকা দায় হয়ে পড়েছে ওই যুবকের। তাই উপায় না বুঝে নিজের সমস্যার কথা সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন। সেখানে বিস্তারে লিখেওছেন ঠিক কী হয়েছে?
আসলে, কয়েকদিনের জন্য পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন ওই যুবক। বিকেলের বাস, কিন্তু অফিসের চাপে বাধ্য হন কাজে যেতে। ব্যাগপত্তর সঙ্গে নিয়ে অফিস গিয়েছিলেন। এদিকে অফিস পৌঁছে মনে পড়ে, কন্ডোম আনতে ভুলে গিয়েছেন। বিকেলে বেরিয়ে কেনার সুযোগ হবে না, তাই ভরসা অনলাইন। দুবার না ভেবে অর্ডার করে দেন। ঠিকানা আগেভাগেই দেওয়াছিল, অফিসের। সময়মতো কন্ডোম নিয়ে হাজির হন ডেলিভারি ম্যান। কিন্তু হাতে হাতে সে জিনিস নেওয়ার মতো সময় ছিল না যুবকের। তাই নির্দেশ দেন, রিশেপসনে পার্সেল রেখে দেওয়ার। ডেলিভারি করতে আসা ব্যক্তি সেই মতোই কাজ সারেন। গোল বাঁধে এরপর! সময় করে রিসেপশনে কন্ডোমের প্যাকেট নিতে গিয়ে দেখেন, সেটা আলাদা কোনও কাগজের মোড়কে নয়, পাতলা এক প্লাস্টিকের ভ্যাগের ভিতর রাখা আছে। এতক্ষণে যা বোঝার বোঝা হয়ে গিয়েছে তাঁর! এতক্ষণ ধরে অফিসের রিসেপশনে তাঁর নাম করে রাখা আছে আসত একটা কন্ডোমের প্যাকেট! তাও প্রকাশ্যে, সকলে দেখতে অয়াবেন এমন ভাবে। তাই বিষয়টা গোটা অফিস ছড়িয়ে পড়ে। নেটদুনিয়াতেও বিষয়টা নিয়ে হাসির রোল উঠেছে। তবে এখনও কন্ডোমের মতো দরকারি জিনিস নিয়ে এমন ট্যাবু কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। অনেকে আবার যুবককেই দুষেছেন, অফিসে কেন এইসব জিনিসের ডেলিভারি নিয়েছেন তা নিয়ে কটাক্ষ অনেকের। সবমিলিয়ে বিষয়টা নিয়ে বেশ শোরগোল পড়েছে সবর্ত্রই।