ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্তে SIT গড়ল কলকাতা পুলিশ। টাকা যাছে কোথায়, খুঁজবে ১০ সদস্যের দল। ‘কর্মবন্ধু’দের বেতন বাড়াল রাজ্য। বড়দিনের আগে মিলবে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকাও। প্রতিশ্রুতি পূরণে তৈরি নবান্ন। জেলের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বাংলাদেশে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বিদায়ের প্রস্তাব। দক্ষিণে ক্রমশ ‘একা’ হওয়ার সম্ভাবনা গেরুয়া শিবিরের।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. ট্যাব কেলেঙ্কারির (Tab Scam) তদন্তে এবার বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করল কলকাতা পুলিশ। ১০ সদস্য থাকবেন এই দলে। কীভাবে ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে গেল, এর নেপথ্যে কোনও চক্র কাজ করছে কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হবে। ইতিমধ্যে ট্যাব কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত ১০টি থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। যাদবপুর, কসবা, সরশুনা, বেনিয়াপুকুর, মানিকতলা, ওয়াটগঞ্জ – সহ একাধিক থানায় ট্যাব কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ, অনেক পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার টাকা যায়নি। লালবাজারের অনুমান, সরকারি কোনও কর্মী এই চক্রের মাথাকে তথ্য দিচ্ছে। এটি স্পষ্ট করতে ফরেনসিক অডিট করা হবে এবং সবকটি দপ্তরের কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেস খতিয়ে দেখা হবে। কলকাতায় দায়ের হওয়া অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চোপড়া, ইসলামপুর ও তার আশপাশের এলাকার বাসিন্দার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট টাকাগুলো ঢুকেছে। বছরখানেক আগে আধার কার্ডের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা এইপিএস জালিয়াতি করে টাকা হাতানোর ঘটনা ঘটছিল। সেই চক্রটি আবার সক্রিয় হয়ে এভাবে জালিয়াতি করে থাকতে পারে বলেও অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।
2. রাজ্য সরকারের অধীনস্থ ‘কর্মবন্ধু’ দের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্নের তরফে জারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এবার থেকে মাসে ৩ হাজারের বদলে ৫০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন ‘কর্মবন্ধু’রা। এই পদে কর্মরতরা মূলত সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করেন। সাফাইকাজ কিংবা নৈশপ্রহরী হিসেবে তাঁদের কাজের সুযোগ রয়েছে।বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ থেকে নয়া ভাতা কাঠামো কার্যকর হচ্ছে। অর্থাৎ এখন তাঁদের যে বেতন দেওয়া হবে, তার সঙ্গে আগের দুমাসের বাড়তি ভাতা যোগ করে দেওয়া হবে। ২০১৮ সাল থেকে একই হারে ভাতা মিলছিল এতদিন। এখন ভাতাবৃদ্ধির এই বিজ্ঞপ্তি দেখে স্বভাবতই খুশি ‘কর্মবন্ধু’রা। এদিকে, ডিসেম্বরেই ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা যাতে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করে, তার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে ফেলল নবান্ন। বুধবার সব জেলাকে নির্দেশ পাঠিয়ে বলা হয়েছে, আবাস যোজনার যে তালিকা তৈরি হয়েছে তা হাতে নিয়ে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা শেষ করতে হবে। সেই তালিকা প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে। ২৯ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই তালিকা ব্লক, এসডিও ও জেলা শাসকের অফিসে টাঙিয়ে রাখতে হবে। অর্থাৎ তালিকা নিয়ে কোনও আপত্তি থাকলে তা ওই সময়ের মধ্যে জানানো যাবে। গ্রামস্তরে এই তালিকাকে এর পর ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুমোদন দেবে গ্রামসভা। ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই তালিকাকে অনুমোদন দেবে ব্লক স্তরের কমিটি। ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা স্তরের কমিটিকে জেলার সামগ্রিক তালিকায় অনুমোদন দিতে হবে। সুতরাং ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফান্ড রিলিজ তথা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করে ফেলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতোই এই কাজ দ্রুত করে ফেলতেই পদক্ষেপ রাজ্যের।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।