রাজার অসুখ সারিয়ে হাতের মুঠোয় এল একটা গোটা দেশ! আজ্ঞে হ্যাঁ। আর সে দেশের নাম কী জানেন? ভারতবর্ষ। আসলে এক রাজার অসুখ থেকেই সূত্রপাত ঘটেছিল আমাদের দেশে দুশো বছরের ইংরেজ শাসনের। কী অসুখ? একটা ফোড়া!
ইংরেজের ভারত জয়ের পিছনে কী ছিল জানেন? না না, পলাশীর যুদ্ধ, মিরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতা, ওসব কিচ্ছু নয়। ভারতে দুশো বছরের ইংরেজ শাসনের পিছনে ছিল… একটি ছোট্ট ফোড়া!
চমকে গেলেন? তবে শুনুন।
আরও শুনুন: Biryani: বাঙালির বিরিয়ানিতে আলুর ঠাঁই হল কীভাবে?
সম্রাট ঔরঙ্গজেব মারা যাওয়ার পর থেকেই দিল্লির অবস্থাটা বেশ অগোছালো। দিল্লির মসনদ তখন সামলাচ্ছেন তাঁর নাতির ছেলে ফারুখশিয়র। রূপবান তিনি, তবে স্বাস্থ্যবান নন কোনও দিনই। অসুখবিসুখ লেগে থাকে মাঝেমধ্যেই। তা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একদল প্রতিনিধি যখন ব্যবসা সংক্রান্ত কীসব কথাবার্তা বলতে তাঁর দরবারে উপস্থিত হলেন, তখনও তাঁর একই হাল। ঊরুসন্ধি আর পায়ুদ্বারে একখানা ফোড়া গজিয়েছিল কীভাবে কে জানে, তার ব্যথায় সম্রাট দিনরাত ত্রাহি ত্রাহি রব ছাড়ছেন। আর বিষফোড়ার ওপর গোদের মতো, এই ফোঁড়ার দৌলতে সম্রাটের দ্বিতীয় বিয়েটা প্রায় ক্যান্সেল হয়ে যেতে বসেছে! বাদশার মনমেজাজ এমনই তিরিক্ষি হয়ে আছে যে ইংরেজদের সঙ্গে আলাপ আলোচনায় বসতে মোটেও ইচ্ছে করছে না তাঁর। সে যতই তারা রাশি রাশি মোহর আর বহুমূল্য উপহার নজরানা দিক না কেন! এদিকে মুঘল দরবারের হাকিমরা সব ফেল মেরেছেন। বাদশা ঠিকমতো উঠতে বসতে পর্যন্ত পারছেন না। শেষে কি এই সামান্য ফোড়ার জ্বালায় প্রাণ যাবে খোদ ভারতসম্রাটের!
আরও শুনুন: Samosa: বাঙালির অতি প্রিয় শিঙাড়া নাকি আদতে ‘ভারতীয়’ই নয়!
ইংরেজ দলের নেতা ক্যাপ্টেন জন সারমন বেশ চালাকচতুর লোক। তিনি দেখলেন, এ তো ভারী বিপদ! অনন্ত কাল দিল্লিতে বসে থাকা সম্ভব নাকি! সম্রাটকে এত উপহার দিয়ে, আমির ওমরাদের ভালমতো ঘুষ খাইয়েও, উদ্দেশ্যের ধারেকাছে পৌঁছনো যায়নি এখনও। শেষে পুরো প্ল্যানটাই না মাটি হয়! ক্যাপ্টেন সারমন অন্য উপায়ের খোঁজে মাথা ঘামাচ্ছিলেন, এমন সময় তাঁর কানে এসে পৌঁছল সম্রাটের অসুস্থতার সংবাদ। একেই বলে ছপ্পর ফুঁড়ে পাওয়া! কেন? আরে, তাঁর দলে যে আছেন একজন অসাধারণ শল্য চিকিৎসক। তাঁর নাম ক্যাপ্টেন উইলিয়াম হ্যামিলটন। খবরটা কোনও ভাবে পৌঁছে দিতে হবে শাহি দরবারে। আর তারপর, বাদশার সাক্ষাৎ পাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা।
বাকি গল্প শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।