মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক জুনিয়র ডাক্তারদের। ঘণ্টা দুয়েকের আলোচনায় ধাপে ধাপে দাবি পূরণের আশ্বাস। তবে অনশন প্রত্যাহার নিয়ে জারি ধোঁয়াশা। চিন্তা বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ডানা। কৃষ্ণনগরের ছাত্রীর ময়নাতদন্তে মিলল না ধর্ষণের প্রমাণ। তবে জীবিত অবস্থাতেই গায়ে আগুন। সীমান্তে সামরিক তৎপরতা কমাতে একমত ভারত-চিন।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 20 অক্টোবর 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- অনশন জারি রেখেই সোমবার বৈঠকে যোগ, সিদ্ধান্ত জুনিয়র ডাক্তারদের
বিস্তারিত খবর:
1. মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অবশেষে বৈঠক সারলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক আলোচনা হয় এদিন। বৈঠকে আরও একবার নিজেদের দশ দফা দাবির কথা বলেন ডাক্তাররা। টাস্ক ফোর্সে তাঁদের প্রতিনিধি রাখা, প্রতিবছর আরডিএ ও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তোলেন তাঁরা। পাশপাশি আরজি করের ভয়াবহ অভিজ্ঞতাও এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সবিস্তারে তুলে ধরেন চিকিৎসকরা। মন দিয়ে চিকিৎসকদের সমস্ত কথা শোনেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে সরব হন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে মমতা সাফ জানিয়ে দেন, নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ বাদে বাকি কথা শুনবেন তিনি। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানান, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। রাজ্য টাস্ক ফোর্সও তৈরি করেছে। এদিনের বৈঠকে ওঠে থ্রেট কালচারের প্রসঙ্গ। ‘থ্রেট কালচারে’র অভিযোগে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রশাসনকে না জানিয়ে ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করলেন। কীভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন? এটা থ্রেট কালচার নয়? আমাদের জানালেন না কেন? স্বাস্থ্যবিভাগকে জানালেন না কেন?’ তাঁর প্রশ্ন, “সরকারকে না জানিয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কী ভাবে তৈরি হল?” ভবিষ্যতে ৪৭ জনের সাসপেনশন নিয়ে তদন্তের ইঙ্গিত দিয়ে রাখেন তিনি। আন্দোলনকারীদের সব দাবি শুনে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, একদিনে সমস্ত দাবি পূরণ সম্ভব নয়। তবে ধাপে ধাপে তা পূরণ হবে। অনশন তুলে জুনিয়রদের কাজে ফেরার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই বৈঠকের পর নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবেন ডাক্তাররা। তাঁরা যদি অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন তাহলে এই বৈঠক সদর্থক জায়গায় পৌঁছবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
2. ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ডানা। হাওয়া অফিসের দাবি, আগামী বুধবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। উত্তরবঙ্গেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। তবে বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। বুধবার বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। বৃহস্পতিবার অতি ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা-সহ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম। বৃষ্টির পাশাপাশি বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। হাওয়ার গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। একইসঙ্গে সমুদ্রও উত্তাল থাকবে। বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।