উৎসব অনুষ্ঠানে পোশাকের সঙ্গে মানানসই গয়না না পরলে যেন সাজ সম্পূর্ণ হয় না। তবে মনু ভাকের আজকাল সেই গয়নার প্রয়োজন মেটাচ্ছেন অলিম্পিক মেডেল দিয়েই। আর তা নিয়ে কথা উঠতেই কী বললেন পদকজয়ী শুটার? শুনেই নিন।
প্যারিস অলিম্পিক্সে দেশকে প্রথম পদক এনে দিয়েছিলেন মনু ভাকের। দ্বিতীয় পদকও দেশে আসে তাঁরই হাত ধরে। আর সেই জোড়া পদকই এখন মনুর সবচেয়ে দামি গয়না। স্বাধীন ভারতে প্রথমবার জোড়া পদক জিতে ইতিহাস গড়েছেন যে মেয়ে, তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী থেকে আমজনতা সকলেই। সেই সুবাদে প্রায়ই নানারকম অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পাচ্ছেন তিনি। আর সেইসব অনুষ্ঠানে যাওয়ার সাজে অলিম্পিক মেডেল দুটি জুড়ে নিচ্ছেন মনু। অলংকারের মতো করেই মেডেল পরে সম্পূর্ণ করছেন অনুষ্ঠানের সাজ। আর এইভাবে সেজেই একাধিক অনুষ্ঠানে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন মনু ভাকের।
এই ‘সাজ’ নিয়ে অবশ্য কথাও শুনতে হয়েছে তাঁকে। অলিম্পিকে পরপর দুটি পদক জিতে নেওয়া আশাতীত সাফল্য তো বটেই, তার জন্য যথেষ্ট প্রশংসা-সম্মানও কুড়িয়ে নিয়েছেন মনু। কিন্তু তা বলে কোনও পাবলিক ইভেন্টেও সেই মেডেল গলায় ঝুলিয়ে যাওয়া বেশ বাড়াবাড়ি, এমনটাই মনে করছেন অনেকে। নেটদুনিয়ায় তা নিয়ে ট্রোল করতেও ছাড়েননি কেউ কেউ।
আরও শুনুন:
রুপো আসেনি অলিম্পিকে, কিন্তু গ্রামের চৌকিদারের ১০০ টাকা বহুমূল্য সম্মান দিল বিনেশকে
তবে এসব সমালোচনাকে পাত্তা দিতে একেবারেই নারাজ মনু। সম্প্রতি তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মনু সাফ বলেন, হ্যাঁ আমি অনুষ্ঠানে মেডেল পরেই যাই, কেন যাব না? এরপর অবশ্য এই সাজের পক্ষে যুক্তিও দেন মনু। তিনি জানান, অলিম্পিকে মেডেল জয়ের পর থেকে নানা অনুষ্ঠানে ডাক পাচ্ছেন তিনি। এর আগে আমন্ত্রণের এমন জোয়ারও ছিল না, আর আমন্ত্রণ এলেও কোচ কিংবা মা-বাবার থেকে অনুমতি মিলত না সেখানে যাওয়ার। তাঁরা সবসময়ই মনুকে প্র্যাকটিসে ডুবে থাকতে বলতেন। সেই কঠোর অনুশীলনের ফল হিসেবে এসেছে জোড়া পদক। আর সেই পদকের সুবাদেই এখন অনুষ্ঠানে ডাক পাচ্ছেন মনু, সেখানেও বিপুল ভালোবাসা পাচ্ছেন মানুষের। সুতরাং পদকগুলি যদি তাঁরা দেখতে চান, সে কথা ভেবেই অনুষ্ঠানে পদক সঙ্গে করে নিয়ে যান মনু। তা ছাড়া অনুষ্ঠানের আয়োজকেরাও অনেকে তাঁকে পদকগুলি নিয়ে আসার জন্য আর্জি জানান। সেই অনুরোধ মেনেই অলিম্পিক মেডেল সঙ্গে রাখেন মনু। আর এই আচরণ নিয়ে কোনও সংকোচও নেই তাঁর, সাফ জানাচ্ছেন পদকজয়ী শুটার।