গরুকে মাতৃজ্ঞানে পুজো করেন হিন্দুরা। তবে স্রেফ পুজো নয়, গরুকে পশুর প্রজাতি থেকেও বাদ দিতে হবে। তবেই নাকি গরুর প্রতি ভক্তি প্রকাশ সম্ভব। দাবি শঙ্করাচার্য। ঠিক কী বলছেন তিনি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
পশু নয়। গোরু আমাদের মা। এই দাবিতেই গোরুকে পশুর প্রজাতি থেকে বাদ দেওয়ার দাবি তুললেন শঙ্করাচার্য। সরকারের কাছে এই আর্জি রেখেছেন তিনি। অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা হোক, এমনই দাবি তাঁর।
সাম্প্রতিক কালে গোমাতা ইস্যুতে বারেবারেই সরগরম হয়েছে কেন্দ্রীয় রাজনীতি। গোমাংস নিষিদ্ধ করা বা সেই মাংস থাকার অভিযোগে কাউকে হত্যা করার মতো ঘটনাও ঘটেছে। দেওয়া হয়েছে গরুকে মাতৃজ্ঞানে পুজো করারও নির্দেশ। নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম অ্যাজেন্ডা হিসেবেও তুলে ধরা হয়েছে এই প্রাণীটিকেই। আর সেই সূত্র ধরেই তৈরি হয়েছে গো-রক্ষা কমিটির মতো কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যাঁদের প্রধান কাজ গরুকে রক্ষা করা। গোরুর এতটুকু অসম্মান সহ্য করেন না এঁরা। তবে স্রেফ গোরুকে রক্ষা করলেই হবে না। দিতে হবে যোগ্য সম্মান। তার জন্যই গোরুকে পশুর প্রজাতি থেকে বাদ দিতে হবে। সম্প্রতি এই দাবি তুলেছেন উত্তরাখণ্ডের শংকরাচার্য স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ। তাঁর কথায়, গোরুকে মাতৃজ্ঞানে পুজো করি আমরা। তাই একে সাধারণ পশু বলা যায় না। তার স্থান অনেক উপরে, দাবি ধর্মগুরুর। আসলে, কেন্দ্র সরকার গোরুকে পশু হিসেবেই মান্যতা দেয়। বই বা সরকারি ক্ষেত্রে গোরুর উল্লেখ থাকলে, তার পরিচয় হিসেবে লেখা হয়েছে পশু। আর এতেই আপত্তি অবিমুক্তেশ্বরানন্দের। যেহেতু গো-মাতা বলা হয়, তাই গোরুকে মায়ের মতোই শ্রদ্ধা করতে হবে। সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ করুক, এমনটাই চেয়েছেন ধর্মগুরু।
এর আগে গোরুকে জাতীয় পশুর মান্যতা দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন গো-রক্ষ কমিটির সদস্য[রা। সেই সূত্র ধরেই ধর্মগুরু বলেছেন, গোরুকে মাদার অফ নেশন তকমা দেওয়া হোক। একইসঙ্গে দাবি ত্যলেছেন গোরুর নিরাপত্তা নিয়েও। এমন আইন তৈরি হোক, যা গো-হত্যা পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করবে। শুধু তাই নয়, গোরুকে অসম্মান করা হচ্ছে এমন অভিযোগ পেলেও যেন নির্দিষ্ট শাস্তির ব্যবস্থা থাকে। এমনিতে, অবোলা পশুকে অত্যাচার করা বা অন্য কোনও খারাপ কাজ করলে আইন মোতাবেক শাস্তি হয়। সে আইন সমস্ত পশুর জন্যই প্রায় সমান। ধর্মগুরুর এতেও আপত্তি রয়েছে। গোরুর প্রতি হওয়া অন্যায়ের শাস্তি যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়, এমনই ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।