গাড়িতে রাখতেই হবে ডাস্টবিন। অন্যথায় শহরে ঘোড়ার অনুমতিই মিলবে না। সম্প্রতি এমনই নিয়ম চালু করেছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। ঠিক কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এমন নিয়ম চালু হল উত্তরের রাজ্যে? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
পরিচ্ছন দেশ গড়ার লক্ষে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’-এর ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিগত কয়েক বছরে দেশের নানা প্রান্তে এই কর্মসূচি পালন করেছে গেরুয়া শিবির। খোদ প্রধানমন্ত্রীকেও ঝাড়ু হাতে দেখা গিয়েছে। এই স্বচ্ছতার লক্ষ্য সামনে রেখেই বিশেষ নিয়ম চালু করল উত্তরাখণ্ড সরকার।
:আরও শুনুন:
সরকারি স্কুলের নামেও ‘জাত’ বোঝাতে হবে? আপত্তি তুলল মাদ্রাজ আদালত
প্রতি বছর চার ধাম যাত্রা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ উত্তরাখণ্ডে ভিড় জমান। চলতি বছরেও ব্যতিক্রম হয়নি। হরিদ্বার হয়ে দেশের বিখ্যাত সব শিবক্ষেত্রে যাওয়ার প্রস্তুতি সারছেন ভক্তরা। আর এতেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূষনের পরিমাণ। মূলত আবর্জনা। যার মধ্যে চিপসের প্যাকেট, কোল্ডড্রিঙ্কের বোতল সহ অনেক কিছুই রয়েছে। প্রতিদিন এত পরিমানে আবর্জনা জমা হচ্ছে, তা পরিষ্কার করতে হিমসিম খাচ্ছেন সাফাইকর্মীরা। তাই সরকারি তরফে উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে আসা পর্যটক বা তীর্থযাত্রীদের ডাস্টবিন নিয়ে ঘোরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যারা গাড়ি নিয়ে ঘুরবেন, তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে ডাস্টবিন রাখতেই হবে। এর জন্য কড়া পাহারার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ঠিক যেভাবে গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে কি না, যাচাই করে দেখেন ট্র্যাফিক সার্জেন্টরা, এবার গাড়িতে ডাস্টবিন আছে কি না সেটাও একইভাবে দেখা হবে। ডাস্টবিন রাখতে অসুবিধা হলে নিদেনপক্ষে ময়লা ফেলার বড় প্লাস্টিক রাখতে হবে। আসলে, এই উদ্যোগের একমাত্র উদ্দেশ্য সব জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। সাধারণ মানুষ একটু সচেতন হলেই এই ধরনের পদক্ষেপ করার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু অনেকেই দূষনের কথা না ভেবে এদিক ওদিক ময়লা ছড়িয়ে রাখেন। তাতে অন্যদের চরম অসুবিধা হয়। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই এমন নিয়ম জারি করেছে সে রাজ্যের প্রশাসন।
:আরও শুনুন:
সংস্কৃত নয় ইংরাজি বলুক পড়ুয়ারা, ছাত্রের গীতাপাঠ থামিয়ে ABVP-র রোষের মুখে প্রিন্সিপাল
এমনিতে, বিদেশের বহু জায়গায় এই ধরনের নিয়মের চল রয়েছে। সহজাত ভাবেই সেখানে কেউ এদিক ওদিক ময়লা ফেলে রাখেন না। সঙ্গে থাকা প্লাস্টিক ব্যাগে জমা করেন চকোলেটের মোড়ক বা চিপসের প্যাকেটের মতো বর্জ্য। তারপর নির্দিষ্ট জায়গায় সেই ব্যাগ ফেলে দেন। এতে এলাকাও পরিষ্কার থাকে, আবার সাফাইকর্মীদেরও বিশেষ সুবিধা হয়। কিন্তু এ দেশে অনেকেই এত কিছু না ভেবে এদিক ওদিক ময়লা ফেলে রাখেন। তাই নিয়ম করে তাঁদের শোধরাতে চেয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। চারধাম যাত্রার উদ্দেশ্য নিয়ে আসা তীর্থযাত্রীদের যেন এতটুকু অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা বলে মনে করছেন সে রাজ্যের সাধারণ মানুষ। আর এতে পরিবেশ দূষণও অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন তাঁরা।