শুধু বৃষ্টিতে নয়, দেখা যাচ্ছে বিয়ের বাজারেও ছাতার জয়জয়কার। পাত্র কিংবা পাত্রী ঠিক করতে মুখ্য ভূমিকা থাকছে ছাতারই। কিন্তু কীভাবে? আসুন, শুনেই নেওয়া যাক।
কথায় বলে, শীতকালে কাঁথা আর বর্ষাকালে ছাতা ছাড়া চলে না। পথে চলতে গিয়ে হঠাৎ করে বৃষ্টি এলে ছাতা ছাড়া যাবেন কোথায়! কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কেবল বৃষ্টিতেই নয়, বিয়ের বেলাতেও ছাতা বেশ জরুরি। এমনকি ছাতা না থাকলে বিয়ে ঠিকই হবে না, এমন জায়গাও রয়েছে। ব্যাপারটা ঠিক কী?
আরও শুনুন:
রোহিত, নুয়ে পড়া জীবনকে আশার আলো দেখাতে পারেন আপনিই
হ্যাঁ, আজগুবি নয়, সত্যিই এমন এক জায়গা রয়েছে যেখানে ছাতার গায়েই হাজির পাত্র পাত্রী। অর্থাৎ কিনা, ছাতার গায়েই লেখা থাকে তাঁদের যাবতীয় তথ্য, বয়স থেকে উচ্চতা। আর তাই দেখেই বিয়ের সম্বন্ধ স্থির করে ফেলেন হবু বর কনের বাড়ির লোকেরা। গল্পে নয়, বাস্তবেই বিয়ের এই বাজার রয়েছে চিনের সাংহাইতে।
তরুণ তরুণীরা নিজেরাই দেখে বুঝে সঙ্গী নির্বাচন করবেন, এমনটাই হয়ে থাকে আজকাল। তবে পাশাপাশি অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ-এর চলও তো রয়েছেই। আর এখানে ঠিক সেটাই হয়। বিবাহযোগ্য তরুণ তরুণীরা নিজেরা উপস্থিত থাকেন না। তাঁদের হয়ে খোঁজখবর করে বিয়ের চেষ্টা চালান অভিভাবকেরা। আর সেই খোঁজের সুবিধার্থে আক্ষরিক অর্থেই বিয়ের বাজার বসে সাংহাইয়ের পিপল্স পার্কে, রাজধানী বেজিংয়েও। খবরের কাগজে যেমন পাত্র পাত্রীর বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, তেমন এখানেও পাত্র-পাত্রীর সন্ধান চলে। তবে কাগজে নয়, ছাতায়। মেলা থাকে সারি সারি রংবেরঙের ছাতা। আর সেইসব ছাতার গায়ে লাগানো থাকে পোস্টার। সেখানেই পাত্র এবং পাত্রীর বিষয়ে সমস্ত তথ্য দেওয়া থাকে। বয়স থেকে রূপ, শিক্ষা থেকে চাকরি, সবই। ঠিক যেন খবরের কাগজ বা ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের বিয়ের বিজ্ঞাপন।
আরও শুনুন:
মাত্র ৮০০০ টাকায় মিলবে স্বর্গের জমি! বেচাকেনার ভার নিল চার্চ
চিনে এভাবে বিয়ের সম্বন্ধ করার কায়দা বহু পুরনো। এখন অবশ্য তার জনপ্রিয়তা কমেছে অনেকখানিই। স্বাভাবিকভাবেই ছাতাওয়ালা বাজারের জায়গা নিয়েছে ভারচুয়াল দুনিয়া। তবে এখনও পুরনো রেওয়াজ মেনে বিয়ের সম্বন্ধ খোঁজার এই ধারা জারি রেখেছে চিন।