শুধু রাম মন্দির নয়। এবার মন্দিরের জাদুঘরও দেখবে সেই অযোধ্যাই। ব্যাপারটা ঠিক কী? শুনেই নেওয়া যাক।
রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে সাজো সাজো রব পড়েছিল দেশজুড়ে। দেশবিদেশ থেকে উপকরণ এনে সাজিয়ে তোলা হয়েছে সে মন্দির। রামজন্মভূমিতে রামলালা ফিরছেন, এই প্রকল্প জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছিল রাজনীতির ময়দানেও। কিন্তু শুধুমাত্র রাম মন্দিরেই থামছে না যোগীরাজ্যের মন্দির নির্মাণের ধারা। বরং সারা দেশের যে কোনও মন্দিরের দর্শনই হয়তো এবার পাওয়া যেতে পারে সে রাজ্যে। এবার সেখানেই তৈরি হতে চলেছে ‘মিউজিয়াম অফ টেম্পলস’, যাকে বলা যেতে পারে মন্দিরের জাদুঘর। রামের অযোধ্যাতেই তৈরি হবে সেই জাদুঘর। মাত্র ১ টাকায় কেনা জমিতেই গড়ে উঠতে চলেছে এই ‘মিউজিয়াম অফ টেম্পলস’।
আরও শুনুন:
পুরীর মন্দিরের চার দরজা খোলার নির্দেশ বিজেপি সরকারের, কী গুরুত্ব এই চার দুয়ারের?
কী থাকবে এই ‘মিউজিয়াম অফ টেম্পলস’-এ? জানা যাচ্ছে, সারা দেশের যে কোনও বড় এবং প্রাচীন মন্দিরের ঝাঁকিদর্শন করাবে এই জাদুঘর। ভারতবর্ষ জুড়ে নানা সময়ে, নানা অঞ্চলে গড়ে উঠেছে বহু মন্দির। তাদের গায়ে লেগে আছে প্রাচীন ইতিহাসের ছোঁয়া। রাজাদের গরিমা আর প্রজাদের ঘাম-রক্তের ছাপ ধরে রেখেছে সেসব মন্দির। কোথাও রয়েছে দেশের প্রাচীন জ্ঞান আর সম্পদের নিদর্শন, তো কোথাও রয়ে গিয়েছে বহিঃশত্রুর হানার রক্তাক্ত স্মৃতি। এই সবকিছুকেই জাদুঘরে তুলে আনার ভাবনা রয়েছে। থাকবে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো-ও।
আরও শুনুন:
মদের নেশা হাজার চেষ্টাতেও ছাড়ছে না? এই মন্দিরে মাথা ঠেকালেই কাজ হবে
আসলে এই জাদুঘর নির্মাণের কথাবার্তা চলছিল বছরখানেক ধরেই। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং প্রশাসনিক কর্তাদের এ নিয়ে কথা হয়। দেখানো হয় নীল নকশা। প্রধানমন্ত্রীর তরফে সবুজ সংকেত মিলতেই এ নিয়ে উদ্যোগী হয় যোগীরাজ্যের প্রশাসন। এবার জানা গেল, এই মিউজিয়াম গড়ে উঠবে টাটা সন্স-এর তত্ত্বাবধানে। এই সংস্থার সামাজিক দায় তহবিল থেকেই মিউজিয়াম গড়ার সমস্ত ব্যয় বহন করা হবে। মনে করা হচ্ছে, প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা লাগতে পারে এই ‘মিউজিয়াম অফ টেম্পলস’ গড়তে। তবে এর জন্য মাত্র এক টাকায় জমি কিনেছে তারা। হ্যাঁ, মাত্র ১ টাকার বিনিময়েই, ৯০ বছরের জন্য সংস্থাকে জমি লিজ দিয়েছে অযোধ্যার পর্যটন বিভাগ। আর সেইখানেই এবার গড়ে উঠবে মন্দিরের জাদুঘর।