মমতার সাক্ষাৎ চান চিন্ময় কৃষ্ণর আইনজীবী। কুণালের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে ইচ্ছেপ্রকাশ। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পাশে রয়েছে দল, বার্তা তৃণমূলের। খাস কলকাতার বুকে জাল ওষুধের কারবার। বর্ষশেষে কেন্দ্রের অভিযানে বেআইনি চক্র ফাঁস, গ্রেপ্তার এক মহিলা। বাড়ানো হচ্ছে শেষ মেট্রোর ভাড়া। বছরশেষে নিজের ডেরায় ফিরছে বাঘিনী জিনাত। লক্ষ্য স্পেস ডকিং। মহাকাশে পাড়ি জমাল ইসরোর PSLV-C60।
হেডলাইন:
বিস্তারিত খবর:
1. চরমে পৌঁছেছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন। এই আবহে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠক সারলেন চিন্ময় কৃষ্ণর আইনজীবী। মঙ্গলবারের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। উত্তরে কুণাল বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুতে যা যা মন্তব্য করেছেন, তা রবীন্দ্রবাবুর ভালো লেগেছে। সেই জন্যই উনি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে বলেছেন।” কিন্তু সমাধানের জন্য এ রাজ্যের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। একথাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন কুণাল। তাঁর কথায়, যা করার কেন্দ্র সরকারকেই করতে হবে। রাজ্যের শাসকদল কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তের পাশে থেকে সমর্থন জানাবে। কুণালের এই যুক্তি মেনে নিয়েছেন রবীন্দ্রবাবু। এদিকে, আগামী ২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময় প্রভুর জামিন মামলার শুনানি। অসুস্থতার কারণে সেখানে রবীন্দ্রবাবুর উপস্থিত থাকা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও রবীন্দ্রবাবু নিজে জানিয়েছেন খুব চেষ্টা করবেন সময়ের মধ্যে ফিরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার।
2. জাল ওষুধ চক্র রুখতে বর্ষশেষে লাগাতার অপারেশন চালাল কেন্দ্র। আর সেই অভিযানে কলকাতার বুকে ফাঁস হল বড়সড় বেআইনি কারবার। আশঙ্কা, এর সঙ্গেও বাংলাদেশের যোগ রয়েছে। মঙ্গলবার সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ন্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন, পূর্বাঞ্চলীয় শাখার তরফে কলকাতায় অভিযান চালানো হয়। তাতে উদ্ধার হয় প্রচুর ওষুধ, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৬.৬ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, ওষুধগুলি বাংলাদেশ, আমেরিকা, তুরস্ক, আয়ারল্যান্ডের তৈরি। কোনওটা ক্যানসার নিরাময়ের, কোনওটা ডায়বেটিসের। কিছু ওষুধের স্ট্রিপে লেখা – ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। কিন্তু এসব ওষুধ ভারতে আমদানির জন্য যেসব নথি প্রয়োজন, তা পাওয়া যায়নি। কে বা কারা এত বড়সড় চক্র চালাচ্ছে, তার তদন্তে নেমে ড্রাগস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সদস্যরা এক মহিলার খোঁজ পান। জানতে পারেন, তাঁর নেতৃত্বে জাল ওষুধের পাইকারি ব্যবসা চলছে। রিজেন্ট পার্কের ওই মহিলাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পেশ করা হয়েছে। সেখানে ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আপাতত, তাঁকে জেরা করে এই অসাধু চক্রের অন্যান্যদের খোঁজ চলছে। একইসঙ্গে, এদিন কলকাতা থেকে যে সমস্ত ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে গুণগত মান পরীক্ষার জন্য।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।