নবনির্বাচিত সাংসদ তথা অভিনেত্রী কঙ্গনাকে চড় মেরেছিলেন। ঘটনায় জোর সমালোচনার মুখে পড়েন বিমানবন্দরে কর্মরত মহিলা জওয়ান কুলবিন্দর কৌর। তবে নিজের পেশা আর উর্দির জন্য বরাবরই গর্বিত ছিলেন কুলবিন্দর। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
ভোট মিটতেই দেশজুড়ে চর্চায় ‘চড়’। অবশ্য এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। কারণ, চড় খেয়েছেন নবনির্বাচিত বিজেপি সাংসদ তথা জনপ্রিয় অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। আর চড় মেরেছেন মহিলা জওয়ান কুলবিন্দর কৌর। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন মহলে এই নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে।
আরও শুনুন: শরীর দেখালেই জেলে পোরার হুমকি বিজেপির! এবার কঙ্গনাকে চড় মারায় কী বলছেন উরফি?
আসলে, যে কোনও পেশার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম থাকে। জওয়ানদের ক্ষেত্রে সেই মাত্রা খানিকটা বেশিই বলা যায়। তাঁদের হাতেই নিরাপত্তার ভার। সুতরাং সেই কাজে কোনও ‘ভুল’ করা চলে না। তবু তাঁরাও তো মানুষ। সকলেই কোনও না কোনও পরিবারের সদস্য। হাসি, কান্না, রাগ, দুঃখ সবই রয়েছে। কাজেই সব সময় উর্দির নিয়ম মনে রেখে চলা কঠিন। কঙ্গনার ‘চড়’ কাণ্ডেও মহিলা জওয়ানের সেই ব্যক্তিগত ক্ষোভের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। শোনা যাচ্ছে, কুলবিন্দরের পরিবারের কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। এই আন্দোলন সম্পর্কে কঙ্গনা বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেন। যা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি কুলবিন্দর। আর সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে ‘চড়’ হিসেবে। কুলবিন্দর নিজেই একথা সর্বসমক্ষে জানান। ঘটনার তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হয়। ঘটনায় তদন্তের জন্য ‘সিট’ গঠন করেছে মুম্বই পুলিশ। মহিলার চাকরি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই আবহে সামনে এসেছে জওয়ানের চাকরি নিয়ে কুলবিন্দরের ব্যক্তিগত অভিমত। আদতে, নিজের পেশা এবং উর্দির জন্য যথেষ্ট গর্ববোধ করতেন কুলবিন্দর। ‘চড়’ কাণ্ডের পর এমনটা জানিয়েছেন তাঁর স্বামী।
আরও শুনুন: গোমাংস-প্রীতি জানিয়েছিলেন কঙ্গনাও, পুরনো কথা টেনে তোপ কংগ্রেস নেতার
‘চড়’ কাণ্ডের পর থেকেই কুলবিন্দরের পরিবারের সদস্যরাও বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। সেখানেই কুলবিন্দররের স্বামী, যিনি নিজেও একজন CISF জওয়ান, এক ঘটনার কথা বলেন। চড় কাণ্ডের দিন পনেরো আগে বেশ উচ্ছ্বসিত হয়ে বাড়ি ফেরেন কুলবিন্দর। খুশির কারণ, তাঁর সঙ্গে বিমানবন্দরে ছবি তুলতে চেয়েছেন এক তরুণী। সেইসময় কুলবিন্দর আলাদা করে পরিচিত ছিলেন না। তবু তাঁর উর্দিকে সম্মান দেখিয়েই ছবি তুলতে চেয়েছিলেন তরুণী। তাতেই বেজায় খুশি হন কুলবিন্দর। এমনকি তরুণীকে খুশি হয়ে চকোলেটও দেন বলে বাড়িতে জানান। অর্থাৎ নিজের পেশা নিয়ে কুলবিন্দর যে বেশ গর্বিত ছিলেন তা এই ঘটনার থেকে ভালোমতো বোঝা যায়। শুধু তাই নয়, জওয়ান দম্পতি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। এতদিন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ওঠেনি। তাই এই ঘটনাকে বিশষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন CISF-র উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, কুলবিন্দর নিজেও ঘটনায় অনুতাপ প্রকাশ করেছেন। রাগের মাথায় এই কাজ করে ফেলেছিলেন, বলেই জানিয়েছেন তিনি। যদিও এই ঘটনা নিয়ে নেটদুনিয়ায় রীতিমতো শোরগোল চলছেই।