বক্সিং তো হল। কিন্তু সিনেমাটা! Cineপিসি যা বলল, প্লে-বাটন ক্লিক করে শুনে নিন।
ফারহান আখতার, বলি কিবা রাগ তার, মারে কিক ঢিক্ ঢিক্… বলি, সিনেমাটা জমল কি ঠিক!
দেখো বাপু, গোড়াতেই একটা কতা বলে রাখি। বলবে হয়তো, সিনেমাটা তো রিলিজ করেছে দিনকয় হল, সিনেপিসি এত দেরি করে সেটা নিয়ে কতা বলতে এয়েচে কেন! তা দোষ আমার নয়। এই অ্যাতো বড়, অ্যাত্তো বড় সিনেমা বানালে কী চলে বলো দেখি! বলি, ঘরকন্না সামলে তো এসব দেখতে বসতে হয়। হাতে কাজও থাকে কত্ত। তারপর আজকাল ওয়েব সিরিজগুলো কেমন ভাগ ভাগ করে হচ্ছে। টুকটুক করে একটা একটা এপিসোড দেখে নেওয়া যাচ্ছে কাজের ফাঁক ফোকরে। তাতে অভ্যেসও তো খানিক বদলেছে। এখন আবার হুট করে এমন একখানা লম্বা সিনেমা দেখা, কেমন জ্বালার কতা বলো দেকি। পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা যদি একটু ভেবে দেখতেন বিষয়টা, তাহলে আর আমাকে খেপে খেপে বসে সিনেমাটা দেখতে হত না। তা ছাড়া গপ্পোর ভিতর দর্শককে ধরে রাখার টানটাও যেন কম। মানে, ধরো তরকারি হয়েছে ভালোই, কিন্তু চেটেপুটে খাওয়ার সোয়াদ হয়নি। ওই আর কি চলনসই। খেয়ে নেওয়াই যায় এমন আর কী!
আরও শুনুন: Cineপিসি দেখলেন Haseen Dillruba, আর তারপর বললেন…
দেখো, তোমরা আবার বলবে, সিনেপিসি খালি ট্যাঁকস ট্যাঁকস করে কতা বলে। কী করি বলো! হেঁশেল ঠেলি তো। তাই কোন তরকারিতে কী মশলা দিতে হয় সে আমি জানি। আর তার বেচাল দেখলে দুটো কতা না বলে থাকতে পারি না বাপু।
এই যেমন এই ফিল্মের গল্পখানা। ফারহান আখতার মানে আজিজ আলি একসময় রাস্তায় গুন্ডাগিরি করে দিন কাটাত। কিন্তু কপালে লেকা ছিল বক্সার হবে। তা খণ্ডায় কে! তা খেলা যখন শুরু করল তখন কামাল করে দিল। একের পর এক ম্যাচ জিতেই চলেছে ছেলে। ঝড়ের মতো। তাই তার নাম হল গিয়ে তুফান। এরপর গল্পখানা কেমন এগোতে পারে একটু ভেবে বলো দেখি। … কী বলছ? এমন একটা ঘটনা ঘটবে যে বক্সিং রিং থেকে ছিটকে যাবে তুফান! তারপর তার নিজের জীবনে নেমে আসবে একটা বিপর্যয়! আবার সেই সব পেরিয়ে সে নিজেকে ফের প্রতিষ্টিত করবে সেরা বক্সার হিসেবে? তাই তো! এই ভাবনাই আসছে তো মাথায়! তা সিনেমাতেও ঠিক সেইসবই হয়েছে। আর এইটাই তো আমার কতা। সবটাই এমন জলের মতো সোজা গড়িয়ে যাচ্ছে যে, পর্দায় চোখ আটকে থাকার টানটাই যে জন্মাচ্ছে না বাপু! এতে যদি তোমরা সিনেপিসির দোষ দেখো, তো আমার আর বলার কিচুই নেই।
বাকিটা শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।