নরেন্দ্র মোদির রোড শো-তে হাজির স্কুলের পড়ুয়ারা। ভোটপ্রচারের কাজে শিশুদের ব্যবহার করার অভিযোগে কাঠগড়ায় কর্নাটকের স্কুল। নির্বাচনের আগে এ নিয়ে কী বিধি কমিশনের?
পাখির চোখ লোকসভা ভোট। তার আগে রাজ্যে রাজ্যে ঘুরে জোর প্রচারে তৎপর রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা। সেই প্রচারের মন্তব্য বা আচরণ নিয়ে অনেকসময় উসকে উঠছে বিতর্কও। যেমন এবার কাঠগড়ায় খোদ নরেন্দ্র মোদির রোড শো। জানা গিয়েছে, কোয়েম্বাটোরে মোদির নির্বাচনী প্রচারেই হাজির করা হয়েছিল স্কুলের পড়ুয়াদের। প্রচারের অংশ হিসেবেই কাজে লাগানো হয়েছে তাদের। আর এই ঘটনাতেই শুরু হয়েছে শোরগোল। নির্বাচন কমিশনের কড়া নিষেধ সত্ত্বেও কেন শিশুদের প্রচারের কাজে ব্যবহার করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।
আরও শুনুন:
কোবরা, জলঢোঁড়া, চন্দ্রবোড়া… রাজনীতি যেন সর্পমঙ্গল কাব্য
এমনিতে কথায় বলে, যুদ্ধে আর প্রেমে নাকি সবই চলে। আর ভোটযুদ্ধ তো বড় যুদ্ধই বটে। সেখানে জেতার জন্য সম্ভাব্য সব পথ ব্যবহার করতেই রাজি রাজনৈতিক দলগুলি। ভোটের প্রচার থেকেই দেখা যায় সেই মরিয়া ভাবের নজির। বৃদ্ধ থেকে কোলের শিশু, কাউকেই প্রচারে ব্যবহার করতে পিছপা হয় না রাজনৈতিক দলগুলি। যদিও প্রতিবারের মতো এবারও ভোটের আগেই সেই পথে কাঁটা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কড়া নির্দেশিকা জারি করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রচারে কোনওভাবেই শিশুদের ব্যবহার করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি। রাজনৈতিক দলের পোস্টার সাঁটানো, প্রচারপত্র বিলি করা থেকে শুরু করে স্লোগান দেওয়া, কোনও ক্ষেত্রেই শিশুদের ব্যবহার করা চলবে না। এমনকি, ভোটপ্রচার চলাকালীন রাজনৈতিক নেতারা কোনও শিশুকে কোলে বা হাতে নিয়ে ঘুরতে পারবেন না। ভোটপ্রচারের র্যালি বা গাড়িতেও কোনও শিশুকে রাখা চলবে না।
আরও শুনুন:
ভোটের বাজারে জোর ছুটছে বন্ড-এ-ভারত
কিন্তু এহেন নির্দেশিকাকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েই ভোটপ্রচারে শিশুদের ব্যবহার করতে দেখা গেল বিজেপিকে। একাধিক খুদেকে যে ওই রোড শো-র মধ্যে দেখা গিয়েছে শুধু তাই নয়, অনেকে আবার হিন্দু দেবদেবীদের সাজেও হাজির হয়েছিল। বলার অপেক্ষা রাখে না, এ সবকিছুই গেরুয়া শিবিরের প্রচারকৌশল হিসেবেই ব্যবহার করা হয়েছে। পড়ুয়ারা জানিয়েছে, স্কুলের তরফে সেদিন অনুষ্ঠানের দু ঘণ্টা আগে তাদের অনুষ্ঠানের জায়গায় হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে ইতিমধ্যেই কৈফিয়ত তলব করেছেন কোয়েম্বাটোরের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর। সরকারি স্কুলটির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেই হুঁশিয়ারি স্থানীয় প্রশাসনের।