তাঁদের সফল দাম্পত্যের কথা অনেকেই শুনেছেন। জীবনের যাবতীয় সাফল্যের নেপথ্যে বারবার স্ত্রী-র কথা উল্লেখ করেন ইনিফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তি। কিন্তু নিজের সংস্থায় স্ত্রীকে চাকরি দেননি কখনও। যার নেপথ্যে বিশেষ এক কারণের কথা বলেন ইনফোসিস প্রধান। কী সেই কারণ? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
দেশের শীর্ষস্থানীয় আইটি সংস্থা। বিদেশেও যথেষ্ট সুনাম রয়েছে ইনফোসিসের। তবে এত কিছুর পরও একটা বিষয়ে রীতিমতো আক্ষেপ করেন ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তি। আর তা হল, ইনফোসিস-এ নিজের স্ত্রীকে চাকরি না দেওয়া। অনেকেই হয়তো ভাববেন, এতে আক্ষেপের কি আছে! চাইলেই ইনফোসিস-এর সঙ্গে নিজের স্ত্রী-কে জুড়তে পারেন নারায়ণ মূর্তি। কিন্তু না, বিশেষ এক কারণে একেবারে শুরুর দিন থেকেই এমনটা করেননি তিনি।
আরও শুনুন: ‘পার্লে-জি গার্ল’ আসলে লেখিকা সুধা মূর্তি! নিছকই জল্পনা নাকি এটাই সত্যি?
কথায় আছে, যে কোনও পুরুষের সাফল্যের নেপথ্যে একজন মহিলার ভূমিকা থাকে। সবাই এই মন্তব্য সমর্থন না করলেও, অনেকেই কিন্তু করেন। আর সেই তালিকায় রয়েছেন খোদ ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তি। বহুবার নিজের সফল জীবনের নেপথ্যে স্ত্রী সুধা মূর্তির কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। সম্প্রতি আবারও এ প্রসঙ্গে নিজের স্ত্রী-র কথা উল্লেখ করলেন নারায়ণ মূর্তি। তবে এবার তিনি যা বলেছেন, তার মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে বেশ খানিকটা আক্ষেপ। আর সেই আক্ষেপ হল নিজের স্ত্রী সুধা মূর্তিকে ইনফোসিসের সঙ্গে যুক্ত না করা। এমনিতে সুধা মূর্তির পরিচয় ইনফোসির কর্তার স্ত্রী-র গণ্ডিতে আটকে নেই। তিনি একাধারে বিখ্যাত লেখিকা। দীর্ঘদিন ধরে দাতব্য সংস্থা ইনফোসিস ফাউন্ডেসনের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সম্প্রতি রাজ্য সভার সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। ভারত সরকারের থেকে পেয়েছেন পদ্মশ্রী, পরে পদ্মভূষণ সম্মানও। এই সুধা মূর্তিকেই নিজের সংস্থার সঙ্গে যুক্ত না করার আক্ষেপ রয়েছে ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির। তাঁর মতে, সংস্থার অন্যান্য প্রতিষ্ঠাতাদের তুলনায় স্ত্রী সুধা অনেক বেশি যোগ্য। তিনি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হলে আরও ভালো জায়গায় পৌঁছতে পারত ইনফোসিস, এমনটা মনে করেন খোদ নারায়ণ মূর্তি। কিন্তু বিশেষ এক কারণের জন্য এমনটা করতে পারেননি তিনি।
আরও শুনুন: ইনি ঋষি সুনাকের শাশুড়ি! সাদাসিধে সুধা মূর্তিকে দেখে বিশ্বাসই হয়নি বিমানবন্দর কর্মীর
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সেই বিশেষ কারণটা কী?
মনে হতেই পারে অবজ্ঞা করে সেইসময় স্ত্রী-কে চাকরি দেননি নারায়ণ মূর্তি। কিংবা বিশেষ সম্মান জানিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেন ইনফোসিস কর্তা। তবে আসল কারণ যে এর কোনওটাই নয় তা নিজে মুখেই জানিয়েছেন নারায়ণ মূর্তই। আসলে, নিজের সংস্থায় কখনও পরিবারতন্ত্রকে প্রশ্রয় দিতে চাননি নারায়ণ। তাঁর দাবি, সেইসময় দেশের বেশিরভাগ সংস্থার মাথাতেই একই পরিবারের সদস্যরা থাকত। সেইমতো গোটা সংস্থার প্রশাসনিক গঠন তৈরি হত। নারায়ণ মূর্তি বরাবরই চেয়েছিলেন নতুন কিছু করতে। আর সেই নতুন কিছু ভাবতে গিয়েই সবার আগে তাঁর মনে হয়, নিজের সংস্থায় পরিবারের কাউকে যুক্ত করবেন না। তাই স্ত্রী যোগ্য, এমনটা জেনেও তাঁকে সংস্থার সঙ্গে যুক্ত করেননি তিনি। এই নিয়ে প্রথমদিকে সুধা মূর্তিরও আক্ষেপ ছিল বলে জানা যায়। কারণ তিনি নিজেও এই কাজের জগতকে ভালোবাসতেন। যদিও সেসব পুরনো কথা। ইনফোসিসে যোগ না দিয়ে তিনি যা কিছু অর্জন করেছেন তা যথেষ্ট। তাই এই নিয়ে বর্তমানে কোনও আক্ষেপ নেই সুধা মূর্তির। স্রেফ স্বামী নারায়ণ মূর্তির কথায় ধরা পড়েছে স্ত্রীকে চাকরি না দেওয়ার আক্ষেপের কথা।