বিগত এক বছর দেশজুড়ে বেড়েছে মুসলিম বিদ্বেষের হার। আর এক্ষেত্রে অভিযোগের হার সবথেকে বেশি বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতেই। সম্প্রতি, এক মার্কিন সমীক্ষায় ধরা পড়েছে এমন ছবি। ঠিক কী কারণে বিদ্বেষ বাড়ছে, সেই ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে সেখানে। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
মুসলিমদের প্রতি ঘৃণাভাষণ ক্রমশ বাড়ছে দেশে। আর তা হচ্ছে গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতেই। এই বক্তব্য আরও স্পষ্ট করল এক মার্কিন সংস্থা। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, ২০২৩ সালে দেশজুড়ে যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে এই প্রবণতা।
আরও শুনুন: অনুরাগে যত রাগ! যেন সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া হারানোর কিছুই নেই
তথ্য দিয়েই এই সিদ্ধান্ত তুলে ধরেছে মার্কিন গবেষণা সংস্থা ‘ইন্ডিয়া হেট ল্যাব’। তাঁদের প্রকাশিত রিপোর্ট জানাচ্ছে, মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ প্রকাশের ঘটনায় বিগত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙেছে ২০২৩। এই বছরে দেশের নানা প্রান্তে ঘটা ৬৬৮টি বিক্ষিপ্ত ঘটনা নথিভুক্ত করেছে ওই সংস্থা।
যার মধ্যে ২৫৫ টি ঘটনা ২০২৩ এর প্রথম ছয়-মাসে ঘটেছে, বাকি ঘটনা পরবর্তী মাসগুলোতে। সংস্থার দাবি, এর আগে কখনও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি ভারতে। আর সবথেকে অবাক করা বিষয় হল এই যে, বেশিরভাগ অপরাধের ঘটনাই বিজেপিশাসিত অঞ্চল থেকে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তালিকায় উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র কিংবা মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যের নাম রয়েছে। এই সবকিছুর নেপথ্যে কারণ হিসেবে গাজা-ইজরায়েলের যুদ্ধকেই দায়ী করছে ওই সংস্থা।
আরও শুনুন: কত চালে কত ভোট! দোসর কন্ডোমও, রাজনীতিতে যারা নতুন ‘মুখ’
২০২৩ এর অক্টোবরের মাঝামাঝি গাজা-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোড়ন তৈরি করে। প্রথমদিকে এই যুদ্ধে ইজরায়েলের পক্ষ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পরে ভারত – প্যালেস্তাইনের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা সামনে এলে নিজের অবস্থান বদল করেন মোদি। মার্কিন সংস্থার দাবি, এই সময় থেকেই ভারতে মুসলিম বিদ্বেষের হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিযোগের আঙুল দেশের বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদি সংগঠনের দিকেই। বিভিন্ন সভা বা আলোচনায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা বলা হয়েছে। সেই নিয়ে কোথাও কোথাও বিতর্কের আবহ তৈরি হয়েছে। কোথাও আবার দুই পক্ষের বাদানুবাদে তৈরি হয়েছে অশান্তির পরিবেশও। সব ধরনের ঘটনাই পর্যবেক্ষণ করে এই সমীক্ষা সেরেছে ওই মার্কিন সংস্থা। এমনকি অনলাইনেও মুসলিম বিদ্বেষ রীতিমতো হয় বলেই দাবি ওই সংস্থার। সেখানে ভিডিও, ছবি বা লেখার মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধের ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয় বলেই দাবি করেছে এই সংস্থা।