ছদ্মবেশে সন্দেশখালিতে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। মাঝেরপাড়ায় পথ আটকাল পুলিশ। জমি নিয়ে থাকলে ফেরত দিন। সন্দেশখালিতে অভিষেকের বার্তা শোনালেন পার্থ। শাহজাহানের ভাইয়ের থেকে দূরত্ব বাড়াল তৃণমূল। লোকসভার পরই কার্যকর নয়া দণ্ডসংহিতা। তৃণমূলের জোট-জটে বিরক্ত অধীর। বামেদের সঙ্গে আসনরফা নিয়ে কথা শুরু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 23 ফেব্রুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি, বিশেষ বৈঠকের ডাক কমিশনের
আরও শুনুন: 22 ফেব্রুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- নিখোঁজ শাহজাহানকে নিয়ে ডিজি-র দিকেই আঙুল সুকান্তর
বিস্তারিত খবর:
1. মুখ ঢেকে পুলিশের নজর এড়িয়ে সন্দেশখালিতে ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। শনিবার এলাকা ঘুরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন নেত্রী। তারপর সন্দেশখালি কাণ্ডে ধৃত সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের বাড়িতেও যান। সেখান থেকে বেরোলে মাঝেরপাড়ায় মীনাক্ষীকে বাধা দেয় পুলিশ। ১৪৪ ধারার যুক্তি দেখিয়ে গ্রামে যেতে বাধা দেওয়া হলে মহিলা আধিকারিকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বামনেত্রী। এদিকে, এদিন সন্দেশখালিতে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু। তাঁদের ‘শাহজাহানের লোক’ বলে কটাক্ষ করে মিনাক্ষী প্রশ্ন, দুই মন্ত্রী কীভাবে এলাকায় ঘুরতে পারেন? তাঁর দাবি, “১৪৪ ধারা জারি থাকলে আমি একা যেতে পারি। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে তো বাধা নেই।” যদিও শেষমেশ থানায় যেতে চাইলে বাধা দেওয়া হলে সন্দেশখালি ঘাটের কাছে বসে প্রতিবাদ জানান মিনাক্ষী। দিনভর সন্দেশখালি সংলগ্ন এলাকায় ঘোরার পর বাম যুব নেত্রীর দাবি, শুধু শাহজাহান নয়, সন্দেশখালিতে আতঙ্কের নেপথ্যে রয়েছে শাসকদলের বিশাল বাহিনী। তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে পুলিশকে।
2. সন্দেশখালি ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তা সন্দেশখালিতে পৌঁছে দিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু। শনিবার সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানান, সন্দেশখালিতে জমি দখলের যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে অভিষেক জানিয়েছেন, কেউ অন্য কারও জমি নিয়ে থাকলে ফেরত দিতেই হবে। এই দলে গুন্ডামি চলবে না।
এদিন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুজিত বসু ও পার্থ ভৌমিক সন্দেশখালির তপ্ত এলাাকা ঘুরে দেখেন। সকলের সঙ্গে কথা বলে কার্যত মেনেও নেন জমি দখল সংক্রান্ত অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে তাঁদের দাবি, জমিতে যে পথে নোনা জল ঢোকে, সেসব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এদিকে, শাহজাহানের ভাই সিরাজ তৃণমূলের অংশ নন, একথাও সাফ জানিয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের তরফে। শাহজাহানের ভাই সিরাজের নামে এই কদিনে একাধিক অভিযোগ এনেছেন সন্দেশখালির বাসিন্দারা। বিঘার পর বিঘা জমি দখল, পরে ভেড়ি বানিয়ে বিক্রির অভিযোগ ছিল সিরাজের বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে স্থানীয়দের দাবি ছিল, সিরাজ তৃণমূল নেতা। কিন্তু শেখ সিরাজ যে তৃণমূলের কোনও পদেই নেই তা জানিয়েছেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তাঁর কথায়, “অনেক আগেই সিরাজকে সরানো হয়েছে।” মন্ত্রীর দাবি, সিরাজের জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অজিত মাইতিকে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।