বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে পারে আরএসএস। তাই আগামী দিনে ক্ষমতায় রাখতে হবে তাদেরই। সম্প্রতি, এমনই মন্তব্য করে বিতর্ক উসকে দিলেন কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ। ঠিক কোন প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেছেন তিনি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
আরএসএস-ই ত্রাতা। মুসলিমরা থাকলে কোনওভাবে শান্তি মিলবে না বিশ্বে। এমনটাই দাবি কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ের। আগেও এই ধরনের মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অনন্তকুমার। এবার ফের নিজের সেই পুরনো মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হিন্দু সংঘের পক্ষে সওয়াল করতে শোনা গেল তাঁকে।
আরও শুনুন: কৃষক আন্দোলন 2.0! ভোটবাক্স কি আদৌ শোনে ফসলের কান্না?
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনের প্রস্তুতি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাঁদের প্রচারের হাতিয়ার খুঁজতে করতে ব্যস্ত। সবমিলিয়ে দেশ জুড়ে আরও একবার শুরু হতে চলেছে ভোট উৎসব। এই আবহে সাম্প্রদায়িক ইস্যুতে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গেল কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ে-কে। নেতার কথায়, বিশ্বে শান্তি বজায় রাখতে পারে কেবলমাত্র বিজেপি এবং আরএসএস। তাই আগামীদিনে তাদেরই ক্ষমতায় রাখতে হবে। তাঁর সাফ দাবি, প্রধানমন্ত্রীর পদে নরেন্দ্র মোদি থাকলেই ধর্ম এবং দেশ রক্ষা পাবে। তাই আসন্ন নির্বাচনেও সকলেই যেন মোদিকে ভোট দেন, এই অনুরোধই করেছেন বিজেপি নেতা। শুধু তাই নয়, নিজের করা পুরনো এক মন্তব্যের প্রসঙ্গও টানেন তিনি। বছর কয়েক আগে, অনন্তকুমার সরাসরি বলেছিলেন, ইসলাম যতদিন থাকবে ততদিন বিশ্বে শান্তি থাকবে না। এই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এমনকি নেতার নামে মামলাও হয়েছিল। তবে এর জন্য কোনও ভয় তাঁর নেই বলেই সাফ জানিয়েছেন অনন্তকুমার। বরং তিনি আগে যা বলেছিলেন এখনও সেই একই কথা বিশ্বাস করেন বলেই নিজের মন্তব্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা। আর এবারে তাঁর নতুন সংযোজন আরএসএস।
আরও শুনুন: মন্দির বেশি হলে হিন্দুরা অন্য ধর্মে যাবেন না! বাড়ছে ধর্মান্তর আটকানোর নয়া ভাবনা
অনন্তকুমার আরও বলেন, তাঁর দল এবং সংঘ পরিবার ক্ষমতায় থাকলেই বিশ্বকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। নেতার ইঙ্গিত, তাঁরাই শান্তি রক্ষার প্রতীক। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি অনন্তকুমার। তবে তাঁর এহেন মন্তব্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত হননি বিজেপির সদস্যরাই। বিশেষ করে ইসলাম প্রসঙ্গ টেনে এহেন মন্তব্য করা উচিত হয়নি বলেই মনে করেছেন বিজেপির একাংশ। তাই অনন্তকুমারের এই নতুন মন্তব্য নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, আসন্ন নির্বাচনে কিছুটা হলেও এর প্রভাব কর্নাটকের ভোটব্যাঙ্কে পড়তে পারে।