সেই কবে সলমন খানের দিকে তাকিয়ে মাধুরী দীক্ষিত জানতে চেয়েছিলেন- হাম আপকে হ্যায় কৌন? সে প্রশ্নের কি উত্তর আদৌ মিলত, যদি না থাকত ছোট্ট টাফি! নায়ক-নায়িকার মিল ঘটাতে সবথেকে বড় ভূমিকা তো ছিল তারই। তবে, সিনেমার পরে সেই ছোট্ট টাফির কী হয়েছিল? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
খুদে পোষ্য। তবে, বড় কাজে তার জুড়ি মেলা ভার। এমনকী ক্রিকেট ম্যাচে আম্পায়ারের ভূমিকাতেও সে দিব্যি লড়ে যায়। ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা নিশ্চিতই খুদে টাফিকে ভুলতে পারেননি। ছবির চুম্বক আকর্ষণ যে মাধুরী-সলমন তা নিয়ে অবশ্য সন্দেহ নেই। এখনও রোম্যান্টিক হিন্দি সিনেমার তালিকায় একেবারে গোড়ার দিকেই থাকে এই ছবির নাম। সেই ১৯৯৪ সালের সিনেমা। তবু ফিলহালের ডিজিটাল যুগে প্রেমের কথা উঠলে গুনগুনিয়ে ভেসে আসে ‘মসম কি জাদু হ্যায় মিতওয়া’র মতো গান। কিংবা একটু ঘরোয়া পারিবারিক অনুষ্ঠানে, অন্ত্যাক্ষরীর আসরে ‘দিদি তেরা দেবর দিবানা’ গাওয়া হবে না, এমনটা প্রায় হয়ই না। এমনই এই ছবির ম্যাজিক।
আরও শুনুন: প্রেম নিয়ে তখন জোর চর্চা, অমিতাভ শুটিংয়ে, রেখাকে বাড়িতে নেমন্তন্ন জয়ার, তারপর?
সূরয বরজাতিয়ার সে ছবি ভারতীয় একটা পরিবারকেই তুলে ধরেছিল। পরিবারের মধ্যে যে সম্পর্কের বাঁধন এবং মূল্যবোধ তাই-ই গল্পে গল্পে ধরা দিয়েছিল। আর সেই পরিবাররেই একটি অংশ ছিল পোষ্য টাফি। শুধু যে মনোরঞ্জনের খাতিরেই তার ছবিতে থাকা, এমনটা কিন্তু নয়। পরিচালক তাকে দিয়েই ছবির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করিয়েছিলেন। ছবির ক্লাইম্যাক্সে যখন সলমন-মাধুরীর প্রেম ভেঙে যাচ্ছে, ঘটনাচক্রে মাধুরীর বিয়ে হতে চলেছে মনীশ বেহলের সঙ্গে, ঠিক তখনই মোক্ষম একটি চিঠি টাফি দিয়ে আসে মনীশের হাতে। তার দরুনই দুয়ে দুয়ে চার হয়, সকলে মাধুরী-সলমনের প্রেমের কথা জানতে পারে। অবশেষে মধুরেণ সমাপয়েৎ। বলা যায়, নায়ক-নায়িকার মিলনে অনুঘটক আর ঘটক দুই-ই ছিল টাফি। তা সিনেমার পরে সেই ছোট্ট টাফি গেল কোথায়? টাফির আসল নাম অবশ্য ছিল রেডো। ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র এক বিশেষ পর্বে খোদ বিগ বি একবার দিয়েছিলেন টাফির হদিশ। সিনেমার সূত্রে টাফির সঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে তাকে এতটাই ভালো লেগে গিয়েছিল যে, মাধুরী দিক্ষিত নিজেই টাফিকে নিজের কাছে নিয়ে গিয়ে রেখেছিলেন। বহুদিন নায়িকার ঘরই হয়েছিল টাফির ঠিকানা। ২০০০ সাল নাগাদ ১২ বছর বয়সে টাফি ইহকালের মায়া কাটিয়ে চলে যায়। তবু আজও হাম আপকে হ্যায় কৌন-এর দৌলতে দেখা যায় সেই ছোট্ট ছটফটে টাফিকে। বহুবার দেখা সত্ত্বেও এখনও দর্শক অপেক্ষা করে টাফির সেই মোক্ষম চাল থুড়ি দৌড়ের জন্য। দর্শক জানে টাফি না থাকলে ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’ প্রশ্নের উত্তরও যে অধরা!