গুরুতর অসুস্থ হয়ে প্রায় মৃত্যুর মুখে এক ব্যক্তি। সাতপাঁচ না ভেবেই তাঁর প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মহিলা। কিন্তু ফলশ্রুতিতে প্রশংসা মেলা দূরে থাক, নিজের চাকরিটিই খোয়ালেন তিনি। কিন্তু কেন? শুনে নেওয়া যাক।
নিজে চাকরি ছেড়ে দেওয়া এক কথা। কিন্তু চাকরি খোয়ানো নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকেন প্রায় সকলেই। তার উপর যদি কোনওরকম নোটিস পর্যন্ত না দিয়ে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়, তবে সেই মানুষটির অবস্থা তো সহজেই অনুমান করা যায়। ঠিক তেমনটাই হয়েছে এই মহিলার সঙ্গে। কোনও নোটিস নয়, পূর্বাভাস নয়, হঠাৎ করেই চাকরিটি হারিয়েছেন তিনি। তবে কেন চাকরি গেল, সে কারণ জেনে তিনি আরও অবাক। কোনও খারাপ কাজ করার দরুন তাঁর চাকরি গিয়েছে, এমনটা নয়। একজন মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্যই নাকি চাকরি খুইয়েছেন তিনি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন একজন।
আরও শুনুন: জন্মের পরেই আলাদা দুই যমজ বোন, ১৯ বছর পর ফের দেখা হল কীভাবে?
জানা গিয়েছে, একদিন অফিসে যাওয়ার পথেই এক সহযাত্রীকে দেখতে পান ওই মহিলা। রীতিমতো মুমূর্ষু ছিলেন সেই ব্যক্তি। বোঝাই যাচ্ছিল, সেই মুহূর্তেই তাঁর আপৎকালীন সহায়তা দরকার। এদিকে মহিলার কাছে যথাযথ ফার্স্ট এড কিট যেমন ছিল, তেমনই তিনি সিপিআর দিতেও জানেন। এ বিষয়ে সার্টিফিকেটও রয়েছে তাঁর। সুতরাং দ্বিধা না করে তিনি সঙ্গে সঙ্গেই ওই ব্যক্তিকে সাহায্য করতে ছুটে যান। সেই সময় অফিসের ইউনিফর্মেই ছিলেন তিনি। কিন্তু কাজে যেতে দেরি হচ্ছে কি না, সেসব কথাও তিনি ভাবেননি। সিপিআর দেওয়ার ফলে আস্তে আস্তে অনেকটা সুস্থ হন ওই ব্যক্তি। প্যারামেডিক দল ও পুলিশ না আসা পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন মহিলাও।
আরও শুনুন: কোনও কাজ না করেই এক মাসে রোজগার ৮ লাখ, কীভাবে সম্ভব জানেন?
কিন্তু গোল বাধে তার পরেই। তাঁর সংস্থার বক্তব্য, অফিসের ইউনিফর্ম পরে এ কাজ করে মহিলা আদৌ ঠিক করেননি। এমনটা নাকি সংস্থার পক্ষে খুব একটা ভালো বিজ্ঞাপন নয়। আর সেই কারণেই চাকরি থেকে তৎক্ষণাৎ ছাঁটাই করা হয় তাঁকে। সমগ্র ঘটনায় কার্যত হতবাক ওই মহিলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরাও।