একটা গাড়ি কিনতেই সারাজীবনের সঞ্চয় চলে যায় অনেকের। আর এই ব্যক্তির বাড়ির গ্যারাজে রয়েছে ৭০০ খানা বিলাসবহুল গাড়ি। শুধু তাই নয়, রয়েছে ৮ খানা নিজস্ব জেট বিমানও। মোট সম্পত্তির পরিমান শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। ঠিক কার কথা বলছি? আসুন শুনে নিই।
‘অল্পেতে খুশি হবে দামোদর শেঠ কি?’ কবিতায় এই প্রশ্নে অনেক কিছুই বুঝিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই বলে চলে, শুধু ‘শেঠ’ এর বদলে বলতে হবে ‘শেখ’। কারণ যার কথা বলছি, তিনি দুবাইয়ের বাসিন্দা। এবং তাঁর পরিবারই বিশ্বের সবচাইতে ধনী মুসলিম পরিবার।
আরও শুনুন: অযোধ্যার রাম মন্দিরে ‘রামায়ণ’-এর দাম প্রায় ২ লাখ! কেন জানেন?
বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম না হলেও বেশ উপরের দিকেই রয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহইয়ান। সেই স্থান তাঁর ব্যক্তিগত সম্পত্তির নিরিখে। কিন্তু তাঁর গোটা পরিবারের সম্পত্তির হিসাব করলে যা দাঁড়াবে, তা দেখে বিশ্বের তাবড় তাবড় ধনকুবেররাও লজ্জায় মুখ লোকাতে পারেন। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বিন জায়েদের পরিবারের বর্তমান সপত্তি ২৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। ওই রিপোর্টেই সম্পত্তির নিরিখে ২০২৩ সালে সবচেয়ে ধনী পরিবারের তকমা দেওয়া হয়েছে বিন জায়েদের পরিবারকে। আর হবে নাই বা কেন! একা বিন জায়েদের কাছেই রয়েছে সারা বিশ্বে যে তৈল খনি রয়েছে তার ছয় শতাংশের মালিকানা। জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যম টুইটার (এক্স) এর শেয়ারও রয়েছে বিন জায়েদের কাছে। এবং তার পরিমাণ মোটেও অল্প নয়। হলিউড গায়িকা রিহানার জনপ্রিয় সংস্থা থেকে আরম্ভ করে দেশ বিদেশের একাধিক নামীদামী কর্পোরেটের শেয়ার রয়েছে বিন জায়েদের। রয়েছে বিদেশি ফুটবল ক্লাবের মালিকানাও। এমন একজনের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স যে কত হবে, তা হিসাব করে বলা কঠিন। যদিও এসবই বিন জায়েদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। পরিবারে তাঁর মতো ধনকূবেরর রয়েছেন আরও অনেকেই।
-: আরও শুনুন :-
বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে শতাধিক রামায়ণ, রামকে কেন্দ্র করেই জারি ভিন্নমতের অধিকারও
প্রথমেই বলতে হয় বিন জায়েদের ভাই শেখ হামাদের কথা। তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহে রয়েছে ৭০০ টি গাড়ি। সবকটাই বিলাসবহুল। মানে কোনওটার দামই কোটি টাকার নীচে নয়। বিশ্বের বৃহত্তম এসএইভি-টিও তাঁর সংগ্রহেই রয়েছে। আরেক ভাই তাহনাউন বিন জায়েদ আল নাহইয়ান একটি বিনিয়োগকারী সংস্থার মালিক। বর্তমানে সেই সংস্থার বাজার মূল্য ১৯ লক্ষ কোটি টাকা। আরব তো বটেই, লন্ডন প্যারিসের মতো শহরেও তার একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। সেসবের বাজার মূল্যও যথেষ্টই। ফুটবল ক্লাবের মালিকানা তাঁরও রয়েছে। তাও আবার যে সে ক্লাবের নয়, বিখ্যাত ম্যান সিটির মালিকানা রয়েছে তাঁর। এখানেই সম্পত্তির শেষ নয়। রয়েছে দুটি বিলাসবহুল প্রমোদ তরী। আর ৮ খানা জেট প্লেন। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। বিন জায়েদের পরিবারে রয়েছে এই এতগুলো প্লেনও। স্রেফ যাতায়াতের সুবিধার জন্যই এই ব্যবস্থা। সবমিলিয়ে জায়েদের পরিবারকে বিশ্বের ধনীতম স্বীকৃতি দেওয়া যথার্থ বলেই মনে করছেন অনেকেই।