রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনেই পথে নামছেন মমতা। সংহতি মিছিলের ডাক রাজ্য জুড়ে। বঞ্চিত জনতার কাছে পৌঁছবে সরকারি পরিষেবা। এশিয়াডে পদকজয়ীদের জন্যও পুরস্কার ঘোষণা মমতার। দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক নিয়ে রাজ্য-মেট্রো সংঘাত। ভাঙা চলবে না, রুট বদলানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। সন্দেশখালি কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও ৩। ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় ‘ধাক্কা’ নুসরত জাহানের। ২১ জুলাইয়ের সভাস্থলেই কর্মসূচি করতে চায় আইএসএফ।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 14 জানুয়ারি 2024: বিশেষ বিশেষ খবর- সন্দেশখালি কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও ২, এখনও অধরা শাহজাহান শেখ
বিস্তারিত খবর:
1. অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিনেই বড় কর্মসূচি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্য জুড়ে সংহতি মিছিলের ডাক তৃণমূল সুপ্রিমোর। কলকাতায় সংহতি মিছিলে হাঁটার পাশাপাশি সর্বধর্ম সমন্বয়ের লক্ষ্যে জনসভাও করবেন মমতা।
২০২৪ লোকসভার আগে বিজেপির মূল অস্ত্র হতে চলেছে রামমন্দির। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনও বিরোধী দলই বিজেপির ওই হিন্দুত্বের পালটা কোনও কর্মসূচি ঘোষণা করেনি। কংগ্রেস রামমন্দির উদ্বোধন বয়কট করলেও পালটা কর্মসূচি তারাও ঘোষণা করেনি। তৃণমূলই সম্ভবত প্রথম বিরোধী দল হিসাবে মন্দির উদ্বোধনের দিন পালটা সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করল। এদিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘ওই দিন হাজরা থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত সংহতি মিছিল হবে। হাজরা থেকে মন্দির, মসজিদ গুরুদ্বার ছুঁয়ে পার্ক সার্কাসে একটি জনসভা করব।” তিনি জানিয়েছেন, ওই দিন রাজ্য জুড়ে বুথে বুথে সম্প্রীতি মিছিল করবে তৃণমূল। এদিকে কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেরুয়া রং করা কিংবা লোগো বসানোর ‘ফতোয়া’-ও মানবে না রাজ্য। কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে রাজ্যের সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এবার কড়া চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
2. দুয়ারে সরকারের পর ‘বঞ্চিত’ আমজনতার কাছে পৌঁছতে নয়া কর্মসূচি রাজ্য সরকারের। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে ‘জনসংযোগ কর্মসূচি’-র ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনতার কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে প্রতি ভোটকেন্দ্রে বসবেন সরকারি আধিকারিকরা। আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। অন্যদিকে এশিয়ান গেমসে পদকজয়ীদের জন্যও এবার বিশেষ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, হাংঝৌ এশিয়ান গেমস ও এশিয়ান প্যারা গেমস থেকে যতজন পদক জিতেছেন তাঁদের সংবর্ধনা দেবে রাজ্য সরকার। দেওয়া হবে আর্থিক পুরস্কারও। শুধু এশিয়ান গেমস নয়, পুরস্কৃত হবেন এশিয়ান প্যারা গেমসের পদকজয়ীরা। বাংলার যে সমস্ত ক্রীড়াবিদ ন্যাশনাল গেমসে পদক পেয়েছেন তাঁদেরও পুরস্কৃত করা হবে। সব মিলিয়ে অন্তত ৩২২ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।