সমুদ্রের ধারে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ালে কেউ বাধা দেবে না। কিন্তু যৌনতা করতে গেলেই, হাতে হাতকড়া পড়তে পারে। হ্যাঁ, এমনই নিয়ম এই সমুদ্র সৈকতে। এর ঠিকানা কোথায়? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
সিনেমায় সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য মানেই, স্বল্পবসনা তরুণীর ভিড়। কেউ কেউ আবার সম্পূর্ণ নগ্ন। তবে সিনেমা তৈরির জন্য যে আলাদা ভাবে এমন দৃশ্য তৈরি করা হয়, তা একেবারেই নয়। বিদেশের বেশিরভাগ সমুদ্র সৈকতে এমনিতেই এই ছবি ধরা পড়ে। তবে স্রেফ ওতটুকুই। এর বেশি কিছু করার কোনও অনুমতি নেই।
আরও শুনুন: প্রেমিক ঠকিয়েছেন, আয়কর অফিসে ট্যাক্স ফাঁকির তথ্য ফাঁস করে বদলার প্রেমিকার
এমনই এক সৈকত হল ফ্লোরিডার হলোভার বিচ। এখানে চাইলেই নগ্ন হয়ে ঘোরা যায়। ছোট-বড়, ছেলে-মেয়ে সকলের ক্ষেত্রেই এক নিয়ম প্রযোজ্য। ছুটির আমেজে নিশ্চিন্তে সময় কাটানোর অন্যতম ঠিকানা হতে পারে এই হ্যালোভার বিচ। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষ ভিড় জমান এই সৈকতে। এমনকি পরিবারের সঙ্গেও এখানে সময় কাটাতে আসেন অনেকেই। ভাবছেন তো, সবাই নগ্ন হয়ে ঘুরছে এমন সৈকতে পরিবারের লোকজন নিয়ে কীভাবে যায় সকলে?
আরও শুনুন: প্রেমিকা কাঁদলে বিরক্ত হন! তরুণীর চোখের জলেই নাকি শান্ত হয় রাগী পুরুষের মন
এখানেই বলতে হয় কয়েকটা নিয়মের কথা। আসলে এই সৈকতে স্রেফ ওই নগ্ন হওয়ার অনুমতিটুকুই রয়েছে। তার থেকে বেশি কিছু না। মানে, চাইলেই পছন্দের কারও সঙ্গে উদ্দাম যৌনতায় মেতে ওঠার কোনও নিয়ম নেই এখানে। বলা ভালো, একেবারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কাউকে ভালো লাগলে তার দিকে তাকানোও যাবে না। নারী হোক বা পুরুষ, কেউই বিপরীত লিঙ্গের কারও দিকে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থাকতে পারবেন না। কোনওভাবে ধরা পড়লেই হাতে হাতকড়া পড়বে। এখানেই নিয়মের শেষ নয়। নগ্ন মহিলা সামনে দেখলে অনেকেই উত্তেজিত হয়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে কোনওভাবেই কেউ যেন বুঝতে না পারে। তার জন্য পুরুষাঙ্গ ঢেকে দিতে হবে বালি কিংবা তোয়ালে দিয়ে। তাতেও সমস্যা না মিটলে, ওই অবস্থায় নেমে পড়তে হবে সমুদ্রে। কেউ যদি কারও আচরণে অস্বস্তি বোধ করে, তবে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করবে কর্তৃপক্ষ। তাই ভুল করেও এই ধরনের কাজ এখানে কেউ করেন না। নগ্ন হওয়া মানেই যে যৌনতা নয় এখানে গেলে এমনটা বেশ বোঝা যাবে। তাই কর্তৃপক্ষ এই বিচকে পারিবারবান্ধব বলেও দাবি করেন। এছাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো রয়েছেই। চারিদিকে নীল জলের রাশি মন ভালো করতে বাধ্য। চাইলেই জলে সময় কাটানো যায় ঘন্টার পর ঘণ্টা। এদিকে নগ্ন থাকুন বা শরীরে পোশাক থাকুক কোনও কিছু নিয়েই কেউ প্রশ্ন করতে আসবে না। তাই নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর সেরা ঠিকানার অন্যতম হতেই পারে ফ্লোরিডার এই বিচ।