নিখোঁজ ছিলেন স্ত্রী। হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখলেন জানলেন স্ত্রী আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। তাই দেখে মাথায় হাত তৃতীয় স্বামীর। ব্যাপারটা ঠিক কী? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
সেই কোন যুগে রবিঠাকুর লিখেছিলেন, ‘রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা…’। কিছু কিছু ঘটনা এখনও প্রমাণ করে দেয়, কী ভীষণ সত্যিটাই না লিখেছিলেন ঠাকুর! অন্তত এক্ষেত্রে যা ঘটেছে, তাকে ‘যাহা তাহা’ না বলে উপায় নেই। সেইসঙ্গে এই ঘটনাকে বিবাহ বিভ্রাটও বলা যেতে পারে অনায়াসে।
আরও শুনুন: ৭০ বছর বয়সে যমজ সন্তানের মা, কীভাবে সম্ভব হল জানেন?
ঠিক কীসের কথা বলছি?
কথা বলছি, কর্নাটকের এক মহিলার সম্পর্কে। বলা ভালো, তাঁর বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে। এমনিতে অনেকেই একাধিক বিয়ে করেন। একবার বিয়ে ভাঙলে আবার বিয়ে করা মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়। একবার, দুবার, তিনবার… এমনকি চার-পাঁচবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অনেকেই। এই মহিলাও চারবার বিয়ে করেছেন। তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। মুশকিলটা আসলে অন্য জায়গায়। সেখানে রয়েছেন মহিলার তৃতীয় স্বামী। যিনি নিজের স্ত্রী-র চতুর্থ বিয়ের কথা জানতেনই না।
আরও শুনুন: বিকিনি পরার জেরে প্রশ্ন উঠেছিল সংসদেও! পাঁচ দশক পরে স্মৃতি টানলেন শর্মিলা ঠাকুর
ঘটনার সূত্রপাত মাস তিনেক আগে। সেইসময় গর্ভবতী অবস্থায় নিজের বাপের বাড়ি চলে যান এই মহিলা। তার ঠিক কয়েকদিন পর থেকেই তিনি নিখোঁজ। অন্তত মহিলার তৃতীয় স্বামীর দাবি তেমনটাই। স্ত্রী-র খোঁজ না পেয়ে বেজায় চিন্তায় পড়ে যান কর্নাটকের বাসিন্দা প্রশান্ত। এমনকি থানায় মিসিং ডায়েরী অবধি করিয়ে ফেলেন তিনি। এমনিতে এই ধরনের মিসিং ডায়েরী করালে অন্তত কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয়। পুলিশি তদন্ত না হলে নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া সম্ভব নয়। তাই চিন্তা সত্ত্বেও বাড়িতে বসেই অপেক্ষা করছিলেন প্রশান্ত। এদিকে এর কয়েকদিন পর তিনি নিখোঁজ স্ত্রী-র ছবি দেখতে পান সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই ছবি দেখেই মাথায় হাত প্রশান্তের। কারন ছবিতেই স্পষ্ট মহিলা আবার বিয়ে করেছেন। এদিকে সে ব্যাপারে কিছুই জানেন না প্রশান্ত। প্রথমে ভেঙে পড়লেও খোঁজ নিয়ে সবটা জানতে পারেন প্রশান্ত। এর পরই নিজেদের সম্পর্কে বেশ কিছু কথা সামনে আনেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত দাবি করেন, নিখোঁজ থাকাকালীন কোনওভাবে তাঁর স্ত্রী গর্ভপাত করিয়েছেন। তারপর নতুন করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। যার কিছুই জানতেন না প্রশান্ত। শুধু তাই নয়, এইসময় স্ত্রীর ব্যাপারে আরও খোঁজ নিতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, মহিলার আগেও দু-বার বিয়ে হয়েছে। আসলে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ থেকেই এই মহিলার প্রেমে পড়েন প্রশান্ত। সেই জলই বিয়ে অবধি গড়ায়। এরপর কেটেছে দেড় বছর। এত দিনেও তিনি জানতেন না স্ত্রীর আরও দুটি বিয়ে রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই সব মিলিয়ে তিনি বেশ ভেঙে পড়েছেন। প্রশান্ত আরও জানান সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর স্ত্রী বেশ সক্রিয়। সেখানেই যুবকদের জন্য প্রেমের ফাঁদ পাতেন তিনি। এমনটা আর যেন না হয় সেটাই চেয়েছেন প্রশান্ত। তাই স্ত্রীর নামে প্রতারণার অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। একইসঙ্গে গোটা ঘটনায় বেজায় অবাক নেটদুনিয়াও।