ভালোবাসার টানে পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন। শুরু থেকেই সীমা হায়দারকে নিয়ে চর্চার কমতি নেই নেটদুনিয়ার। সম্প্রতি এক পড়ুয়ার উত্তর ঘিরে নতুন করে চর্চায় ফিরলেন সীমা। তাঁর সম্পর্কে ঠিক কী লিখেছে ওই পড়ুয়া? আসুন শুনে নিই।
পাকিস্তানে বড় হওয়া। সেখানেই সংসার। তিন সন্তানের মা। প্রেমের টানে এই সবকিছু ভুলে ভারতে চলে আসেন সীমা হায়দার। এখানে এসে থাকতে শুরু করেন হিন্দু প্রেমিকের সঙ্গে। এমনকি সীমা নিজের ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন বলেও শোনা গিয়েছিল। কয়েক মাস আগেও নেটদুনিয়ায় তাঁকে নিয়ে চর্চা লেগেই থাকতো। তিনি কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন, তাঁর নতুন পরিবার তাঁকে আদৌ মেনে নিয়েছে কি না, এই নিয়ে আগ্রহের কমতি ছিল না নেটিজেনদের। সম্প্রতি সেই সীমা নতুন করে চর্চায় ফিরেছেন।
আরও শুনুন: একদিনে ৫৮৯৩ প্যাকেট কন্ডোমের অর্ডার, বছরভর অনলাইনে আর কী কিনল দেশবাসী?
এমনিতে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। সেখানে এক বিবাহিত তরুণীর পক্ষে স্রেফ ভালোবাসার দোহাই দিয়ে এই কাজ করা তো আরও কঠিন। কিন্তু সীমা এমনটা করেছিলেন। প্রেমের শুরু অনলাইন গেম থেকে। জানা গিয়েছিল, পাক তরুণীর স্বামী পেশায় রাজমিস্ত্রি, মূলত সৌদি আরবেই থাকেন তিনি। আর চার সন্তানকে নিয়ে পাকিস্তানে একাই থাকতেন বছর তিরিশের সীমা। এই পরিস্থিতিতে অনলাইন গেম খেলার সূত্রে নয়ডার ২২ বছরের তরুণ শচীন মিনার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল সীমার। আলাপ থেকে ক্রমে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। একাকিত্ব ঢেকে দেয় প্রেম। প্রেমের টানে সংসার ছেড়ে শেষ পর্যন্ত প্রেমিকের কাছে চলে আসার ঝুঁকি নেন তিনি। পাসপোর্ট ভিসার পরোয়া না করেই সন্তানদের নিয়ে ভারতে পালিয়ে আসেন সীমা। সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তানে তিনি আর ফিরতে চান না। এমনকি এখানে তিনি দিব্য সংসার করছেন বলেও দাবি করেন। ভালো-মন্দ মিশিয়ে তাঁকে ঘিরে চর্চা চলত নেটদুনিয়ায়। কেউ তাঁর ভালোবাসার বহর দেখে মুগ্ধ হত, কেউ বা তার পাকিস্তানি পরিচয়কে সামনে রেখে নানা সমালোচনা জুড়ত। দীর্ঘদিন এই নিয়ে চর্চা চলেছে নেট্মহলে। ধীরে ধীরে তা থিতুও হয়েছিল। সম্প্রতি সেই চর্চার আগুনে নতুন করে ধোঁয়া দিয়েছে এক ভাইরাল পরীক্ষার খাতা।
আরও শুনুন: ‘৭২ ঘণ্টার মধ্যে ছাড়তে হবে ভারত’, গেম-প্রেমের পাক বধূকে হুমকি গো-রক্ষা হিন্দু দলের
ঘটনাটি রাজস্তানের এক স্কুলের। সেখানকার পরীক্ষায় কারগিল যুদ্ধের কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল। উত্তরে ভারত-পাক সীমান্তের কথা লিখেছে এক পড়ুয়া। সেই অংশের দৈর্ঘ কতটা তাও স্পষ্ট উল্লেখ করেছে সে। কিন্তু ভারত-পাক সীমান্তের নাম হিসেবে লিখেছে সীমা হায়দার। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। উত্তরের খাতায় ওই পড়ুয়া নিশ্চিন্তে ভারত-পাক সীমানা আর সীমা হায়দারকে এক করে দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই উত্তরের ওই বিশেষ অংশ গোল করে শূণ্য বসিয়েছেন পরীক্ষক। যা নেটদুনিয়াতেও রীতিমতো ভাইরাল। অনেকেই পড়ুয়ার ওমন অদ্ভুত উত্তরের বহর দেখে বেজায় অবাক হয়েছেন। সেইসঙ্গে আরও একবার চর্চায় ফিরেছেন সীমা হায়দারও।