রামমন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে রামলালাকে বিশেষ উপহার দিতে চান ব্যবসায়ী। সেই উপহারটিও আসলে রামমন্দিরই, তবে ইট-কাঠ-পাথরে নয়, তা গড়া হয়েছে হিরে দিয়ে। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে যেমন বিতর্কের শেষ ছিল না, তেমনই মন্দির গড়ার জন্য আয়োজনেরও সীমা নেই। শুধু দেশেরই নয়, বিদেশ থেকেও এসেছে রামমন্দিরের উপাদান। আর সেই সবকিছুর সমন্বয়েই গড়ে উঠেছে অযোধ্যার এই মন্দির। কিন্তু সেই মন্দির উদ্বোধনের আগেই শোনা গেল আরও একটি রামমন্দির নির্মাণের কথা। যিনি ওই দ্বিতীয় মন্দিরটি নির্মাণ করেছেন, তিনি অবশ্য তা নিজের কাছে রাখতে চান না। বরং রামলালাকেই সেই মন্দিরটি উপহার দিতে চান বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। আর সেই উপহার দেখেই চোখ চড়কগাছ সকলের। কারণ মাটি-কাঠ-পাথর এমন কোনও কিছুই নেই সেখানে। এসবের বদলে এই রামমন্দিরটি তৈরি হয়েছে ৫০০০ হিরে দিয়ে। আর সেই রত্নখচিত মন্দিরকেই রামলালার কাছে নিবেদন করতে চান তার নির্মাতা।
আরও শুনুন: রাম নামে মুছবে ভেদাভেদ! অযোধ্যার মন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রণ মুসলিমপ্রধান দেশগুলিকেও
আসলে ওই ব্যক্তি একটি হিরের নেকলেস বানিয়েছেন। পেশায় তিনি সুরাটের হিরে ব্যবসায়ী। রামমন্দির নিয়ে দেশজোড়া এই ভক্তি উন্মাদনার আবহে তিনি চেয়েছিলেন গয়নার কাজেও তার ছাপ রাখতে। আর সেইমতোই ওই বিশেষ হারটি বানিয়েছেন তিনি। যার পেন্ডেন্টটি গড়ে উঠেছে অবিকল রামমন্দিরের আদলে। আর হারের চেন অংশটিতে রামায়ণের মূল চরিত্রদের প্রতিমূর্তি খোদাই করা হয়েছে। সমস্ত গয়নাটি তৈরি করতে লেগেছে ৫০০০ আমেরিকান ডায়মন্ড এবং দু কেজি রুপো। তবে হারের নকশার পরিকল্পনা করলেও একজনের পক্ষে একা ওই নেকলেস বানানো সম্ভব ছিল না। ৪০ জন শিল্পী অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিখুঁত এই নেকলেসটি বানিয়েছেন। সমস্ত কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে ৩৫ দিন। তবে এই বিশেষ হারটি যে কোনও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যের জন্য বানানো হয়নি, প্রথমেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। তাঁর সাফ বক্তব্য, ভক্তরা যেমন রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে বিভিন্ন কিছু দান করতে চাইছেন, তেমনটাই চেয়েছিলেন তাঁরাও। রামলালাকে উপহার দেওয়ার জন্যই তাই এই বিশেষ নেকলেসটি বানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। আর সেই নেকলেস দেখেই এবার চোখ চড়কগাছ দেশবাসীর।