ধরনার ১০০০ দিনে মস্তক মুণ্ডন মহিলা চাকরিপ্রার্থীর। সমস্যা সমাধানে তৎপর কুণাল ঘোষ। আন্দোলনকারীদের আলোচনায় ডাকলেন ব্রাত্য। ডিসেম্বরেই দিল্লিযাত্রা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উদ্দেশ্য ইন্ডিয়া জোটের আগামী বৈঠকে যোগদান। সাক্ষাতের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও। জঙ্গি ডেরার খোঁজে দেশের ৪১টি জায়গায় অভিযান NIA-র। জনধন প্রকল্পে হদিশ মিলছে না প্রায় ১০ কোটি জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্টের।গুজরাটকে হারিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে বঙ্গব্রিগেড।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 8 ডিসেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- ‘বিজেপির প্রতিহিংসার শিকার’, মহুয়ার সাংসদ পদ বাতিলে তোপ মমতার
বিস্তারিত খবর:
1. SLST চাকরিপ্রার্থীদের ধরনার ১০০০ দিন পার। এবার মাথা নেড়া করে প্রতিবাদ মহিলা চাকরিপ্রার্থীর। শনিবার ধরনামঞ্চে বসেই মস্তক মুণ্ডন করেন তিনি। মহিলার দাবি,”যন্ত্রণার হাজার দিনে আর কোনও পথ খুঁজে না পেয়ে মাথা নেড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাইনি।” এদিকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের হাজার দিনে কার্যত রাজনৈতিক মঞ্চের রূপ নেয় ধরনা মঞ্চ। সেখানে হঠাৎ হাজির হন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁকে দেখেই আন্দোলনকারীদের একাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বিভিন্ন স্লোগান তুলতে থাকেন। কুণাল ঘোষ যদিও এসবকে গুরুত্ব না দিয়ে সংক্ষেপে জানান, ন্যায্য চাকরির দাবিতে আন্দোলনকারীকে নেড়া হতে দেখে তিনি এই মঞ্চে এসেছেন। একইসঙ্গে এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। যাঁদের সঙ্গে সাময়িক বচসায় জড়ান কুণাল। তবে পরিস্থিতি সামলে তিনিও চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে ধরনায় বসেন। সেখান থেকেই ফোন করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। জানা গিয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সময় দিয়েছেন ব্রাত্য। ১১ তারিখ অর্থাৎ সোমবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা চাকরিপ্রার্থীদের ৭ প্রতিনিধির। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে যাবেন কুণাল ঘোষই। এই ঘটনার পর অনেকেই মনে করছেন, এভাবে আলোচনার রাস্তা খোলা হল।
2. ডিসেম্বরেই ফের দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জানা গিয়েছে, তাঁর মূল উদ্দেশ্য ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেওয়া। তবে একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্ন সূত্রের খবর, আগামী ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীতে উড়ে যেতে পারেন মমতা। ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি শরিকদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করেও সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী কথায়, “কেন্দ্র রাজ্য সরকারকে কার্যত আর্থিক অবরোধের মুখে ফেলেছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না, বাংলার বাড়ির টাকা দিচ্ছে না, স্বাস্থ্য মিশনের টাকা দিচ্ছে না। আমরা ওদের টাকা চাইছি না। বাংলার প্রাপ্য টাকার ভাগ চাইছি। এসব নিয়ে কথা বলতে আমি প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়েছি।” এদিকে আগামী ১৮, ১৯, ২০ ডিসেম্বরের মধ্যেই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হওয়ার কথা। মনে করা হচ্ছে ওই বৈঠকেই ইন্ডিয়া জোটে থাকা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে চলেছে। জানুয়ারি মাসে ইন্ডিয়ার আরও একটি বৈঠক ডাকা হতে পারে এবং সেখানেই আসন ভাগাভাগি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, দুটি বৈঠকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।