অপহরণ করা হচ্ছে মুসলিম মেয়েদের। তারপর ভিনধর্মের পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের। সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক অভিযোগে সরব কেরলের এক মুসলিম নেতা। ঠিক কী দাবি করেছেন তিনি? শুনে নেওয়া যাক।
ভিনধর্মে বিয়ে মানেই ধর্মনাশের চেষ্টা, এমন অভিযোগে মাঝে মাঝেই শোরগোল ওঠে দেশে। এমনিতে তার নিশানা থাকে মুসলিম সম্প্রদায়ের দিকেই। হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ানোই উদ্দেশ্য তাদের, এহেন দাবি তুলে বারে বারেই সরব হতে দেখা গিয়েছে হিন্দুত্ববাদীদের। কিন্তু এবার সেই অভিযোগ এল উলটো দিক থেকে। মুসলিম মেয়েদের অপহরণ করে ভিনধর্মে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করে বসেছেন কেরলের এক মুসলিম নেতা। বামশাসিত কেরলে বাম নেতাদের প্রশ্রয়েই এহেন ঘটনা ঘটছে বলেও কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন ওই নেতা।
আরও শুনুন: শাহরুখকে চিঠি লিখেই বিপাকে! কাফিল খানের বিরুদ্ধে দায়ের নতুন এফআইআর
এমনিতে মুসলিম যুবকদের সঙ্গে হিন্দু মেয়েদের মেলামেশা বিপজ্জনক বলে বরাবরই দাবি করে থাকেন হিন্দুত্ববাদীরা। ভিনধর্মের মধ্যে প্রেম, এবং তারপর বিয়ের ঘটনা ঘটলে প্রায়শই তাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে দাগিয়ে দেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, আসলে হিন্দু মেয়েদের ভুলিয়েভালিয়ে বিয়ে করতে চায় মুসলিম ধর্মাবলম্বী পুরুষেরা। তারপর জোর করে মেয়েটির ধর্মান্তর করে এবং তার গর্ভে একাধিক সন্তানের জন্ম দিয়ে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ানোই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু সম্প্রতি উলটো দাবিতেই সুর চড়িয়েছেন কেরলের সুন্নি সংগঠন সামাস্থার নেতা নজর ফইজি কুড়াথায়ি। এই নেতা আবার সুন্নি যুবজন সঙ্গমের রাজ্য সেক্রেটারিও। সম্প্রতি এক সমাবেশ থেকে তিনি দাবি করেছেন, কেরলে মুসলিম মেয়েদের অপহরণ করা হচ্ছে। আর সেই কাণ্ডে আসলে সমর্থন রয়েছে বাম নেতৃত্বের। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মুসলিম মেয়েদের ভিনধর্মে, সোজা কথায় হিন্দু পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাকে ধর্মনাশের চেষ্টা বলেই মনে করছেন ওই মুসলিম নেতা। আসলে হিন্দু মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিয়েতেই যে তাঁর আপত্তি, সে কথাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন ফইজি। আর সেই বিষয়ে বাম সরকার কেন বাধা দিচ্ছে না, এই প্রশ্ন তুলেই বাম দলগুলির বিরুদ্ধে জোর আক্রমণ শানিয়েছেন কেরলের ওই মুসলিম নেতা।