রাতের খাওয়া শেষ হতে না হতেই বিছানার আকর্ষণ। আর তারপরেই শরীরী খেলার অদম্য টান। কিন্তু চূড়ান্ত সুখে যদি পৌঁছতে চান, তবে সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে আরেকটু আগে থেকেই। অর্থাৎ যৌনতার আগে কী খাবেন আর কী খাবেন না, যৌন সুখের জন্য সে কথা মাথায় রাখাও জরুরি। শুনে নেওয়া যাক।
বেডরুম মানেই যেন নিষিদ্ধ হাতছানি। যৌনতার উথালপাতাল থেকে শীৎকার- সবকিছুরই যেন ঠিকানা ওই চার দেওয়ালের অন্দরে। কিন্তু চূড়ান্ত তৃপ্তিতে না পৌঁছলে যৌনতার পুরো সুখ মিলল কোথায়! অথচ উদ্দাম যৌনতার পরেও অনেকসময় দেখা যায়, সেই চরম সুখ রয়েছে অধরাই। যৌনতার কলাকৌশলে কোনও ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও এমনটা যে ঘটছে, তার কারণ কি তবে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোথাও? সে কথা ভাবতে গেলে আরও একটি দিকে নজর দিতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। তা হল, যৌনতার আগের খাওয়াদাওয়া। কিছু কিছু খাবার যেমন যৌন উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হয়, তেমনই এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি যৌনতার আগে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো বলে মনে করছেন তাঁরা। কী কী রয়েছে সেই খাবারের তালিকায়? আসছি সে কথাতেই।
আরও শুনুন: পরকীয়া দাম্পত্যের জন্য স্বাস্থ্যকর! যৌনজীবনের আসে নতুন উদ্দীপনা, বলছে সমীক্ষা
আসলে মশলাদার খাবার বা খাবারের কিছু কিছু উপাদান নিশ্বাসে দুর্গন্ধ আনে। যেমন পেঁয়াজ বা রসুন। শুধু নিশ্বাসে নয়, ক্ষরণেও দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে এগুলি। আবার গুরুপাক খাবার সহজে হজম না হলে বায়ুত্যাগের প্রবণতাও বাড়তে পারে, কারও কারও শরীর খারাপ লাগাও অস্বাভাবিক নয়। আর এই সবকিছুই যৌনতার তৃপ্তিকে অনেকখানি কমিয়ে দেয়। যেমন ধরুন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। খেতে ভালো লাগলে কী হবে, তা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা যে কমিয়ে দেয়, তা কি জানতেন? আপনাকে সাময়িক শক্তি দিলেও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে এনার্জি ড্রিঙ্কও। আর অ্যালকোহল? মদ্যপান করতে ভালোবাসেন অনেকেই, নেশার প্রভাবে হয়তো খানিক লাগাম হারিয়েও ফেলেন, কিন্তু আদতে যৌনতার আগে বাড়তি মদ্যপান করা মোটেই কাজের কথা নয়। কারণ অ্যালকোহল আপনার স্নায়ুকে শান্ত করে দেয়। একইসঙ্গে বাড়ায় মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ, যার ফলে ঘুম পায়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, বিষয়টি যৌনতার পক্ষে আদৌ খুব একটা সুবিধাজনক নয়। তাই যৌনতায় পরিপূর্ণ তৃপ্তি চাইলে কেবল যৌন প্রক্রিয়ার দিকে নজর দিলেই চলবে না। তার আগে কী খাবেন আর কী খাওয়া উচিত নয়, সেই বিষয়টিতে নজর দিলেই হয়তো বাড়তি সুখ মিলবে বিছানায়।