বাসন মাজছেন ভালো করেই, তাও মাছ-মাংসের আঁশটে গন্ধ যেন যাচ্ছেই না! কী করবেন তাহলে? আবার মাজতে বসবেন? তার চেয়ে বরং শুনে নিন কিছু ঘরোয়া টোটকার কথা।
কথায় বলে, ঘ্রাণেই নাকি অর্ধভোজন। তা সত্যি কথাই। এই যখন ধরুন মাংসের টগবগে ঝোল থেকে গরম মশলার গন্ধ জোর করে ঘরে ঢুকে পড়ে, কিংবা হাওয়ায় হাওয়ায় ভেসে আসে বিরিয়ানির মনমাতানো সুবাস, কিংবা ইলিশের সুঘ্রাণ, তাতেই তো জীবনের অর্ধেক দুঃখকষ্ট হাপিস হয়ে যায়। কিন্তু গোল বাঁধে এর পরে। ভূরিভোজের পরে যে বাসন জমল, সেখান থেকে তেল-মশলার দাগ চট করে উঠতে চায় না। তার উপরে থাকে মশলাদার খাবারের আঁশটে গন্ধ। অনেকসময় দেখা যায়, বাসন মেজে ফেলার পরেও সেই গন্ধ থালাবাসনের গায়ে লেগে আছে নাছোড়বান্দার মতো। কিন্তু জানেন কি, ঘরোয়া কিছু টোটকা ব্যবহার করেই গন্ধ তাড়ানো যায় সহজে?
আরও শুনুন: চুম্বনে বিভ্রাট! শীতের হাওয়ায় ঠোঁটে টান, সামলাবেন কী উপায়ে?
ফ্রিজের মধ্যে যাতে খাবারদাবার, মাছ মাংসের গন্ধ না হয়, তার জন্য লেবু রাখেন অনেকেই। এক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারেন লেবু। লেবু কেটে তাতে নুন মাখিয়ে বাসনে ঘষে খানিকক্ষণ রেখে দিন, তারপর মেজে নিন আরেকবার। লেবুর বদলে কাজ হতে পারে লেবুর খোসা দিয়েও। এক কাপ জলে লেবুর খোসা ফুটিয়ে নিন ১০ মিনিট মতো। তার পর সেই জলটি থালায় ঢেলে দিলে নিমেষে গন্ধ উধাও হয়ে যাবে। একইভাবে ৩-৪ কাপ জলে দারচিনি ফুটিয়ে ঢেলে দিলেও একই কাজ হবে। ঘরোয়া টোটকা হিসাবে এক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী বেকিং সোডাও। বেকিং সোডার সঙ্গে ভিনিগার বা লেবুর রস মিশিয়ে তা দিয়ে বাসন মাজলে গন্ধ থাকবে না আর।
রান্নাঘরের আরেকটি সাধারণ জিনিস দিয়েও হতে পারে কেল্লা ফতে। আর কিছুই না, বড় বড় টুকরো করে আলু কেটে তাতে নুন মাখিয়ে বাসনে সেই টুকরোগুলি রেখে চাপা দিয়ে রাখুন। আলু যে কোনও গন্ধ খুব দ্রুত শোষণ করে নিতে পারে, ফলে বাসনের আঁশটে গন্ধ শুষে নেবে ওই টুকরোগুলি।
আরও শুনুন: শীতকালে এত অসুখবিসুখ কেন? নাকেই লুকিয়ে যত রহস্য
সুতরাং, বাজারচলতি সাবান বা ডিটারজেন্ট যদি বাসন থেকে খাবারের গন্ধ দূর করতে ব্যর্থ হয়ও, তাতেও কিন্তু চিন্তার কারণ নেই। আপনার হাতের কাছেই রয়েছে এইসব ঘরোয়া টোটকা, যা অনায়াসেই হয়ে উঠতে পারে মুশকিল আসান।