হোটেলে একরাত কাটানোর খরচ লাখ টাকা। দেশের সবথেকে দামি হোটেলে এমনটা হতেই পারে। কিন্তু সাধারণ কোনও হোটেলেও এমন আকাশছোঁয়া দাম শুনেছেন? বিশ্বকাপ ফাইনালের আবহে আহমেদাবাদে হচ্ছে ঠিক এমনটাই। কোন হোটেলে ভাড়া কত হল জানেন? আসুন শুনে নিই।
বিশ বছরের অপেক্ষার অবসান। বিশ্বকাপের ফাইনালে ফের মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া। উত্তেজনায় ফুটছে গোটা দেশ। এমন ম্যাচ কি আর ঘরে বসে দেখা যায়! তাই টিকিট জোগাড় করে ইতিমধ্যেই আহমেদাবাদ হাজির হয়েছেন দেশ বিদেশের ক্রিকেট ফ্যানেরা। কিন্তু খেলা শেষে রাত কাটাবেন কোথায়, সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে অনেকের। কারণটা আর কিছুই না, অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধি। যার নেপথ্যে রয়েছে বিশ্বকাপ ২০২৩ ফাইনাল।
আরও শুনুন: ঠাঁই মেলেনি ২০১১’র বিশ্বকাপে, ১২ বছর পর দেশকে জয়ের দোরগোড়ায় ঠেলেই কামব্যাক রোহিতের
চলতি বিশ্বকাপে ফাইনালের আসর বসছে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। প্রশাসনের তরফে সেই নিয়ে বিভিন্ন ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাইট প্রদর্শনী থেকে শুরু করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বরণ করে নেওয়ার জন্য রয়েছে একাধিক কর্মসূচি। এইসব সামনে থেকে দেখার জন্য খরচ তো হবেই। টিকিট নাহয় আগেভাগে কাটা হয়ে গিয়েছে, তাই সেক্ষেত্রে নতুন করে খরচের বালাই নেই। কিন্তু বাইরে থেকে যারা খেলা দেখতে আসছেন তাঁদের তো অন্য খরচ রয়েছে। আর সেখানেই যত সমস্যা। হোটেল ভাড়া থেকে শুরু করে খাবার দাম, সবই একলাফে বেড়েছে। কোথাও একরাত কাটানোর খরচ ১ লাখ, তো কোথাও তার দ্বিগুণ। উদাহরণ হিসেবে প্রথমেই বলা যায় হায়াত-এর কথা। গোটা দেশেই বিখ্যাত এই হোটেলের একাধিক শাখা রয়েছে। আহমেদাবাদ হায়াত যার অন্যতম। এমনিতেই সেখানে রাত কাটাতে হলে অন্যান্য হোটেলের তুলনায় অনেকটাই বেশি টাকা খরচ করতে হয়। তবে বিশ্বকাপের আবহে তা পেরিয়েছে লাখের গন্ডি। ফাইনালের আগে-পরে মিলিয়ে সেখানে দু-রাত কাটাতে হলে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। এরপর তালিকায় রয়েছে হোটেল তাজ। এই হোটেলও বেশ বিখ্যাত। খরচের পাল্লাও সেইমতো ভারী। এখানে দু-রাত কাটানোর সাড়ে ৩ লাখের কাছাকাছি। একইভাবে ম্যারিয়ট, ভিভান্তার মতো হোটেলগুলিও দু-রাতের খরচ হিসেবে ৩ লাখ টাকা নিচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, তালিকায় র্যাডিসন ব্লু, নভোটেল, ফরচুন ইন, সিয়ারা স্টাইলসের মতো হোটেলও রয়েছে। সবতেই দু-রাত কাটানোর খরচ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা।
আরও শুনুন: শেষ হাসি হাসবে ভারতই? মেগা ফাইনালের আগে দরাজ সার্টিফিকেট অজি তারকার
শুধু হোটেল নয়, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিমান ভাড়াও। যারা আগে থেকে টিকিট কাটেননি তাঁদের এখন জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ অবস্থা! ভারতে থেকেও এমন হাই ভোল্টেজ বিশ্বকাপ ফাইনাল মিস করতে চাইছেন প্রায় কেউই। ফাইনালের টিকিট থাকলে তো কথাই নেই। কিন্তু খরচের বহর দেখে তাঁদের অনেকেরই মাথায় হাত পড়েছে। হোটেল যদিও-বা ম্যানেজ করা গেল, তাড়াতাড়ি আহমেদাবাদ পৌঁছাতে একমাত্র ভরসা বিমান। সেক্ষত্রে একবারের ভাড়া দিতে হচ্ছে চল্লিশ হাজার টাকা। যাওয়া-আসা মিলিয়ে প্রায় ১ লাখের কাছাকাছি। অন্যান্য সময় এই টাকায় অনায়াসে আহমেদাবাদ ঘোরা হয়ে যায়। কিন্তু ফাইনালের আবহে শুধু আহমেদাবাদ পৌঁছাতেই খরচ হবে এত টাকা। যদিও এই সব আফসোস মিটিয়ে দিতেন পারেন রোহিতরা। এতদিন পর যদি আবারও বিশ্বকাপ ওঠে বিরাট-শামির হাতে তবে টাকা খরচ নিয়ে কার্যত কোনও আফসোস থাকবে না কারও, এমনটা বলা যেতেই পারে।