তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত জয়নগর। ঘটনায় অভিযুক্ত এক দুষ্কৃতীকে পিটিয়ে খুন জনতার। অভিযোগ সিপিএমের দিকে, জ্বলল বাম কর্মীদের বাড়ি। বীরভূমের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হল অনুব্রতকে। কৃষ্ণনগরের দায়িত্ব পেলেন মহুয়া। মঙ্গলবার বড়মা দর্শনে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেহাদি রুখতে গাজার বৃহত্তম হাসপাতালে হামলা ইজরায়েলের। নিহত শীর্ষ হামাস নেতা নাসের রাডওয়ান। নজরুলগীতি বিতর্কের পাঁচ দিন পর ক্ষমা চাইলেন ছবির নির্মাতারা।
হেডলাইন:
আরও শুনুন: 12 নভেম্বর 2023: বিশেষ বিশেষ খবর- কালীপুজোতেই জেলযাত্রা জ্যোতিপ্রিয়র, মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ মন্ত্রীর
বিস্তারিত খবর:
1.তৃণমূল নেতা এবং তাঁর খুনে অভিযুক্তর হত্যাকাণ্ডে উত্তপ্ত জয়নগর। জানা গিয়েছে, সোমবার ভোরে মসজিদে নমাজ পড়তে যাওয়ার পথে তৃনমূল নেতা তেতাল্লিশের সইফউদ্দিন লস্কর ঘিরে ধরে একদল দুষ্কৃতী। তাদের ছোঁড়া গুলিতেই রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় সইফউদ্দিনের। যদিও গোষ্ঠীকোন্দল নাকি বিরোধীদের পরিকল্পনামাফিক খুন, তা নিয়ে চলছে জোর তরজা। এদিকে, গুলির শব্দে স্থানীয়রা জড়ো হন ঘটনাস্থলে। পরিস্থিতি বেগতিক পালাতে যায় দুষ্কৃতীরা। তাদের মধ্যে একজনকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন এলাকাবাসী। শুরু হয় বেধড়ক মারধর। যার ফলে ওই দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়। ঘটনায় সিপিএমের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন মৃত তৃণমূল নেতার বাবা। তারপরই সেখান থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের দলুয়াখাঁকি গ্রামে শুরু হয় তাণ্ডব। ওই গ্রামে বসবাসকারী সিপিএম নেতা-কর্মীদের দাবি, একের পর এক বাড়িতে দেদার লুটপাট, ভাঙচুর চালানো হয়েছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় ঘরে। ধানের গোলাও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকী রেহাই পায়নি গ্রামের মহিলা ও শিশুরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলই তাণ্ডব চালিয়েছে। যদিও সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। তাদের দাবি, সইফউদ্দিন একজন জনদরদী নেতা ছিলেন। তাই তাঁর মৃত্যু মানতে না পেরেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে এই কাজ করেছেন। যদিও ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যে পৌঁছেছেন পুলিশ সুপার পলাশ ঢালি। তাঁর দাবি, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে।
2. লোকসভা ভোটের আগে জেলা স্তরে সাংগঠনিক রদবদল তৃণমূলের। এবার বীরভূমের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হল অনুব্রত মণ্ডলকে। ‘সরকারিভাবে’ জেলার সংগঠন দেখবে ৯ সদস্যের কোর কমিটি। এবারের প্রকাশিত জেলার পদাধিকারীদের নামের তালিকায় দেখা মিলল না অনুব্রতর নাম। বীরভূমের তৃণমূল চেয়ারপার্সন পদে রইলেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণার পরই দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। যদিও জেলা সভাপতি পদে অনুব্রত মণ্ডলের নাম না থাকা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। একইসঙ্গে কোর কমিটির কোনও সদস্যের তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে তৃণমূলের এদিনের পদক্ষেপ নিয়ে বীরভূমের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কি দল থেকে ‘দাপুটে’ কেষ্টকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল? সেই প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত তৃণমূল কর্মীরা। অন্যদিকে, এথিক্স কমিটির ‘অনাস্থা’ সত্ত্বেও মহুয়া মৈত্রর উপরই ভরসা রাখল তৃণমূল। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতির পদ পেলেন সাংসদ। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এভাবেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দিল বিজেপির ‘চক্রান্ত’ করলেও দল মহুয়ার পাশেই আছে।
শুনে নিন বিশেষ বিশেষ খবর।