নেটদুনিয়ায় ভাইরাল রশ্মিকা মন্দানার ডিপ-ফেক ভিডিও। ঘটনায় তোলপাড় গোটা সিনেদুনিয়া। রীতিমতো উদ্বিগ্ন দক্ষিণের অভিনেত্রীও। ওই ভিডিওটি আসলে যার, এবার প্রকাশ্যে এল তাঁর পরিচয়। জানেন তিনি কে? আসুন শুনে নিই।
শরীর একজনের। মুখ অন্য কারও। এআই প্রযুক্তির জোরে এভাবেই তৈরি হয় ডিপ-ফেক ভিডিও। সম্প্রতি, এর শিকার খোদ অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দানা। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী-সহ অনেকেই। রশ্মিকাকে আইনি পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন খোদ অমিতাভ বচ্চন। একইসঙ্গে এই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এবার সেই তালিকায় যোগ দিলেন আরও একজন। বলা বাহুল্য, গোটা ঘটনার সঙ্গেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন তিনি।
আরও শুনুন: মুসলিমদের কাছে ভোট চাওয়া মানেই অপমান! কেন বললেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা?
কেন জানেন?
কারণ, যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি আসলে ওই মহিলারই। প্রযুক্তির সাহায্যে তাঁর মুখের জায়গাতেই বসানো হয়েছে রশ্মিকার মুখ। আর সেই নিয়েই সরগরম নেটদুনিয়া। জানা গিয়েছে, ভিডিওটি আসলে জারা প্যাটেল নামে এক ইনফ্লুয়েন্সরের। তবে ভাইরাল ভিডিওটি দেখে সেকথা বোঝার উপায় নেই। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কালো পোশাকে লিফট থেকে বেরিয়ে আসছেন মহিলা। তারপর একগাল হাসি নিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন তিনি। ব্যস এতটুকুই। যে কোনও ইনফ্লুয়েন্সর বা মডেলের এই ধরনের ভিডিও হামেশাই চোখে পড়ে। তবে এই ভিডিও ব্যবহার করে যে এই ধরনের কারচুপি করা হতে পারে তা ভাবতেও পারেননি জারা নিজেও। তাই এই ঘটনা নিয়ে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় জারা জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই জড়িত নন। রশ্মিকার পোস্ট করা বিবৃতিটি শেয়ার করে জারা আরও লেখেন, এই ঘটনায় তিনি রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সকলের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, নেটদুনিয়া কিছু দেখলে তা অবশ্যই যাচাই করে নেওয়া উচিত। জারার দাবি, আজকাল নেটদুনিয়া যা কিছু ঘটছে তার বেশিরভাগই ভুয়ো। তাঁর মন্তব্যকে সমর্থনও জানিয়েছেন আরও অনেকেই।
আরও শুনুন: ‘লাভ জিহাদে’র ছল! হিন্দু মেয়েদের মেহেন্দি পরাতে পারবেন না মুসলিম শিল্পীরা, ফতোয়া যোগীরাজ্যে
তবে এই ঘটনায় আবারও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, নেটদুনিয়ায় মানুষের ব্যক্তিগত পরিচয়ের নিরাপত্তা নিয়েও। প্রযুক্তির জোরে আজকাল দিনকে রাত আর রাতকে দিন করে ফেলতে চাইছেন অনেকেই। সেক্ষেত্রে কোনটা আসল কোনটা নকল বোঝা মুশকিল। অর্থাৎ নেটদুনিয়ায় আপনি কোনও ছবি বা ভিডিও দিলে সেখানে আপনার মুখ বদলে অন্য কারও হয়ে যেতে পারে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই। আবার এর উল্টোটাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি যে কাজ করেননি তার দায় যেমন আপনার উপর আসতে পারে, তেমনই আপনার কৃতকর্মের স্বীকৃতি পেয়ে যেতে পারেন অন্য কেউ। অভিনেত্রী রশ্মিকাও ঠিক এই ইস্যুতেই সরব হয়েছেন। তাঁর কথায়, এই ঘটনা অন্য যে কারও সঙ্গেই হতে পারত। বা ভবিষ্যতে হতে পারেও। একই আশঙ্কা নেটিজেনদের অনেকের মধ্যেও দেখা দিয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এর জন্য সমাজমাধ্যমকেই দায়ী করেছেন। তবু এক্ষেত্রে সরকারের নজরদারীও প্রয়োজন বলে দাবি তুলেছেন কেউ কেউ। এই ধরনের প্রযুক্তির অপব্যবহার যাতে অবিলম্বে বন্ধ হয়, সেই নিয়েই সওয়াল করেছে নেটদুনিয়া।
🚨 There is an urgent need for a legal and regulatory framework to deal with deepfake in India.
You might have seen this viral video of actress Rashmika Mandanna on Instagram. But wait, this is a deepfake video of Zara Patel.
This thread contains the actual video. (1/3) pic.twitter.com/SidP1Xa4sT
— Abhishek (@AbhishekSay) November 5, 2023